বেলি-অবসানে সহচরী সনে
করত বিবিধ বেশ।
চিকুর আঁচড়ি বনাল্য কবরী
যতনে বান্ধিল কেশ।।
কিবা সে লোটন-গোটা।
কুঙ্কুমে মাজল বদন উজ্জ্বল
তাহাতে সিন্দূর –ফোঁটা।।ধ্রু।।
অলকা তিলকে আধ ঝলকে
সাজনি বদন-চান্দে।
দেখিয়া বদন ফাঁফর মদন
ঝুরিয়া ঝুরিয়া কান্দে।।
জটিলা তখন কহিছে বচন
কলসী করহ কাঁখে।
যমুনার তীরে ভরি আন নীরে
দিনমণি যেন থাকে।।
শুনিয়া তখন কহিছে বচন
কালিন্দী-তীরেতে যায়।
নিমানন্দ দাসে আনন্দেতে ভাসে
মিলিলা সে শ্যাম-রায়।।