বেশ বনাইছে শ্যাম।
রাই বাম করে দিয়াছে মুকুরে
চূড়া বাঁধি অনুপাম।।
মুকুতার মালে বেড়িয়া বসনে
মাঝারে প্রবাল-পাঁতি।
তাহার উপরে কুন্দের কলিকা
কি তার দেখিলা ভাতি।।
তার পরিমল পেয়ে অলিকুল
ধাইয়া পড়িছে তায়।
তাহার উপরে মাণিক গাঁথুনি
দেখি মন মুরছায়।।
নব নব নব বরিহ-শিখর
দেওলি চূড়ার’পরে।
নয়ন-অঞ্জন আতি সুশোভন
আকর্ণ পূরিত ধরে।।
সিথার সিন্দূর মুছিয়া তিলক
দিল সে রাধার ভালে।
মৃগ-মদবিন্দু চন্দনের বিন্দু
শোভিত সুন্দর সরে।।
মলয় চন্দন অঙ্গে সুলেপন
অগোর কস্তুরী সনে।
নীল সে নিচোলে পরিলা গোচরে
পীত ধড়া পরিধানে।।
সোণার ঘাঘর ঘঙ্করি দেওলি
নূপুর দেওত পায়।
রসিক নাগর বেশ বনাইয়া
শ্রীমুখ নেহালে তায়।।
চণ্ডীদাস বলে– দেখ কুতূহলে
কিরূপ সাজল রাই।
রসিয়া নাগরী দেখ মনোহারী
ও রূপ হেরয়ে তাই।।