ভানু ভবনে করি বহুবিধ রঙ্গ।
নাগর নাগরী যায় সখীগণ সঙ্গ।।
মরকত মণি ঘরে সুখদ আসনে।
পাশায় আসক হইয়া বসিলা যতনে।।
রাই কানু বেড়িয়া বসিলা সখীগণে।
অতুল রসের হাট পাতিল মদনে।।
নাগরে কহয়ে রাই শুনহ বচন।
যদি বা খেলিবে পাশা আগে কর পণ।।
এই সে খেলার রীতি সুধাহ সভারে।
তুমি আমি নহি ইহা বিদিত সংসারে।।
ধনি বোলে কর পণ তোমার মুরলী।
আমার হইল পণ গলার হাঁসুলী।।
কানু বোলে কিবা পণ করিলা বিনোদিনি।
খেলার এমন পণ কভু নাহি শুনি।।
পাশক খেলার পণ শুন রসবতী।
শতেক চুম্বন দান ইহার উচিতি।।
মো যদি হারিয়ে পণ আগে দিব তোরে।
তুমিত হারিলে দিবে এই সে বিচারে।।
পণ শুনিয়া রাধা কহে বারে বার।
যে খেলিবে খেলু মুই না খেলিব আর।।
কুন্দলতা কহে ধনি না খেলিবে কেনে।
উত্তম হইল পণ খেল দুইজনে।।
ললিতা কহয়ে কানু কর অবধান।
হারিলে চুম্বিবে তুমি ভৃঙ্গীর বয়ান।।
রাধিকা হারিলে দিবে গজমোতি হার।
নহেবা আমরা তাহে করিব বিচার।।
ললিতার কথায় হাসিয়া রসবতী।
খেলার বিনোদ পাশা নাগর সঙ্গতি।।
পাটীর উপরে সারি পাতিল বিশাখা।
ধরিল পাশার পাটী সুন্দরী রাধিকা।।
কহে কবিশেখর শুন সখীগণ।
জয় পরাজয় দেখ হৈয়া মহাজন।।