যমুনা গভীর নদী যেন গঙ্গা বিষ্ণুপদী
বিশাল তরঙ্গ ভয়ঙ্কর।
সে ভাদ্রমাসের জল কলকল টলমল
ডুবে উঠে কুম্ভীর মকর।।
বাসুদেব পায়্যা ভয় মনে স্তব্ধ হয়্যা রয়
কেমনে হইব নদী পার।
হইল বিষম কথা কেমনে যাইব তথা
নাহি নৌকা নাহি কর্ণধার।।
হেনকালে মহামায়া ধরিয়া শৃগাল কায়া
নদী জলে করে বিচরণ।।
দেখি শৃগালের গতি বসুদেব হৃষ্টমতি
যমুনাতে নামিল তখন।।
স্নান করিবার ছলে যমুনা নদীর জলে
কোল হৈতে পড়ির কুমার।
করাঘাত হানি শিরে ভাসে নয়নের নীরে
বসুদেব করে হাহাকার।।
খোঁজে জলে দিয়া হাত পাইল সে জগন্নাথ
বসুদেব পুলকে পূরিল।
জ্ঞানদাস কহে হরি আইলা গোলক ছাড়ি
বিরঞ্জার বাঞ্ছাপূর্ণ কৈল।।