“যে কালে রচনা পুরান করিল
ব্যাস মুনিবর তায় ।
সেই কৃষ্ণদেহ পুরাণ বর্ণিলা
কলপতরুর প্রায়।।
কল্পতরু করি কৃষ্ণেরে রচিল
করিলা অনেক শাখা।
সেই কল্পতরু রচিলা পুরাণ
অপূর্ব্ব দিছেন দেখা।।
শাখা তরুবর যদি বা বর্ণিলা
তাহাতে ধরিল ফল।
সে ফল খাইতে কেহঁ ন রচিলা
ভাবি ব্যাস মুণিবর।।
তথির কারণ দশম করিল
যত পুরাণের সার।
সে ফল আস্বাদ কারণ লাগিয়া
ভব বিধি হর আর।।
দেব-অগোচর নাহিক গোচর
শুনহ সুন্দরি রাধে।
সে ফল খাইতে ভক্ত সুখ হঞা
দেব-আদি করে সাধে।।
ফলের মহিমা ওর না পায়সি
দেবাদি অনন্ত কায়া।”
চণ্ডিদাস বলে– কাহার সকতি
বুঝিয়া বুঝিব ইহা।।