রথ চড়ি যান করয়ে গমন
কৃষ্ণ-হলধর দুই।
প্রবেশে নগর বাজার চাতর
শিঙ্গা বেণু উতরোই।।
হেনক সময় কুবুজা মালিনী
রাজপথে চলি যায়।
“শুল লো সুন্দরি চন্দন কটোরি
হরে মনে হরে তায়।।”
কুবুজা কহেন দোঁহার সদন
কাতর হইয়া বলে।।
“কংসের যোগানি আমি সে মালিনী
লই যাই কংস-তরে।”
“এই গন্ধমালা দেহ মোর গলে”
সরসে কানাই বলে।।
শুনিয়া সুন্দরী করল চাতুরী–
“নৃপতি যে কবে মোরে—
‘নিজক গন্ধক দিছেন সুন্দরী
দিছেন দোঁহার উরে’ ।।”
জানিল এ নহে মানুষ আকার
এ দুই দেবের শক্তি।
পরশ পাইয়া কুবুজা সুন্দরী
পাওল আনন্দমূর্ত্তি।।
বিলক্ষণ রামা যেন কাঁচা সোনা
উর্ব্বশী কিসে বা লিখি।
গোবিন্দ-পরশে তাহে মন তোষে
চণ্ডীদাস তাহে সুখী।