“রাই, বড় সে দেখিল বিপরীত।
সে নব নাগর কান তোমার কেবল মন
দেখিল সদয় অতি চিত।।
বিরহ-বেদন-শরে ভেল তনু জরে জরে
আন কহিতে নাহি আন।
শুনিতে তোমার রীত পুলক মানয়ে চিত
লোরে আঁখি হরল গেয়ান।।
শ্রবণ পরশি শুনে তোমার মাধুরী-গুণে
মোহিত হইল কলেবর।
কেবল তোমার নাম নিরবধি জপে শ্যাম
কাঁপে দুটি অধর সুন্দর।।”
শুনিয়া সখীর বাণী অতি ভেল বিরহিণী–
“কহ কহ শুনি পিয়া-গুণে।”
সোনার পুথলি ঐছে অবনীতে লোটাইছে
ধারা বহে এ দুই নয়নে।।
“কেমন মথুরাপুরী কেমন নাগরী নারী
কহ দেখি মরম-সজনি।
শুনিব শ্রবণ ভরি কেমন কুবুজা নারী
কত রূপ সে জন মালিনী।।
তা সনে পীরিতি করে মুগধ রসিক বরে
শুনিয়াছি পরলোক-মুখে ।
এত কি সহিতে পারি মনে সে গুমরি মরি
জনম গোঙানু এই দুখে।।
এই অতি ভেল মান উঠিল দারুণ মান
পিয়া কি * * এতদূর ।”
চণ্ডীদাস কহে –“ধনি, মিলব নাগরমণি
হব তুয়া মনোরথ পূর।।”