“রাধা, তুমি জানহ কি রীতি
বিরহ-বেদনা মনে জানিবা তেজহ প্রাণে
বুঝিলাম হেন তার গতি।।
অনের তপের ফলে বিধি দিয়াছিল ভালে
পুন তাহা করিল নৈরাস।
করম-লিখন জে খণ্ডাইতে পারে কে
ঘুচিল সকল সুখ-আশ।।
স্ত্রীবধ-পাতক-ভয়ে তার কিছু মনে নয়ে
পাসরিল এ সকল লেহা।
অবলা বধিতে হেন না দেখিয়ে কোন জন
জনম দুখেতে গেল দেহা।।
পরিণামে এই ভৈল পরাণ সংশয় ভেল
কুল শীল গেল এতদূর।
হরি হরি করি প্রাণ বারে করে আনচান
তারে কহে দয়ার ঠাকুর।।
বাঢ়াইয়া অতি প্রীতি এবে করে অনুচিতি
পরিণামে পরাভব সারা।
সেখানে পরের বসে কুবুজায়ে রতি-রসে
ঐছন তাহার ভেল ধারা।।”
মরম সখীর বাণী শুনি রাধা ঠাকুরানি
কহে পুন তাহার উত্তর।–
“সে জদি নিঠুর ভেল তাহার উত্তর বল
ইহার ঘুচাব আর ঘর।।
জাহার লাগিয়া সুখ সেই ভেল বিমুখ
ঐ তনু তেজিব গিয়া জলে।”
চণ্ডিদাস কহে সারা বুঝিল তাহার ধারা
পরতিত কর মোর বোলে।।