“শুন, নন্দঘোষ, আমার বচন
জ্বালহ আনল ভালি।
তাহে প্রবেশিব যশোদা রোহিণী
দেহ-ত আনল জ্বালি।।”
কেহ বলে–“যদি কৃষ্ণ নাহি এলা
বিসরি রহল গেহা।
কি ছার জীবন কিসের কারণ
এখনি তেজিব দেহা।।
যাহার লাগিয়া এ ঘর-করণ
সেই সে রহল দূরে।
নয়নের তারা পরাণ দোসর
বাঁচিব কাহার তরে।।”
কান্দে নন্দঘোষ যশোদা রোহিণী
সঙ্গের বালক যত।
পুরবাসিগণ যত গোয়ালিনী
কান্দে লাখে কত শত।।
হাতে নড়ি করি কত শত অন্ধ
কান্দয়ে করুণ স্বরে।
আছিল সম্পদ্‌ বেড়ল আপদ্‌
কি হৈল গোকুলপুরে।।
চান্দ তেজি গেল হইল আন্ধার
যেমন কানন সম।
বিষম দারুণ কাল সে সঘন
যেন তিমিঙ্গিল ভ্রম।।
জগত-জীবন পরম-কারণ
গোকুলে সবার প্রাণ।
উনমত হই মূরছি কান্দই
চণ্ডীদাস গুণ গান।।