শ্রীশ্রী শান্তিপুরের বুড়ামালী কীর্ত্তন

শ্রীশ্রীরাধারমণো জয়তি

(১৩২৮ সাল, ২৮শে মাঘ শনিবার রাত্রি ৯-১২টা পর্য্যন্ত)

শ্রীশ্রীমদ্‌রাধারমণ দেবের তিরোভাব উৎসব ‘নবদ্বীপ’ শ্রীরাধারমণ বাগ।

‘‘শ্রীশ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই-গৌর-হরিবোল।।’’
ভজ, নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।
শ্রী,–‘‘শান্তিপুরের বুড়ামালী, বৈকুণ্ঠ-বাগান খালি,
খালি,–করিয়া আনিল এক চারা।’’ রে !

বৈকুণ্ঠ-বাগান করে খালি

আমাদের,–শান্তিপুরের বুড়ামালী—বৈকুণ্ঠ-বাগান করে খালি

খালি,– ‘‘করিয়া আনিল এক চারা। রে !
নিতাই-মালীরে পাইয়া, চারা তার হাতে দিয়া,
যতনে রোপিতে কৈল ‘নাঢ়া’।।’’ রে !!

বলে,–এই ধর লও নিতাই-মালী
তুমি,–যতনেতে রোপণ করে

আমার,–বড়-মাপের শ্রীচৈতন্য-তরু—তুমি,–যতনেতে রোপনণ করো

তখন এই,–‘‘নদীয়া উত্তম-স্থান, তাহাতে করি উদ্যান,’’

অভিন্ন ব্রজমণ্ডল

এই,–শ্রীনবদ্বীপ রম্যস্থল—এ-যে,–অভিন্ন ব্রজমণ্ডল

ইহাতে,–‘‘রোপিল চৈতন্য-তরু মালী।’’ রে !!

যতনেতে রোপণ কৈল

আমার,–গুপনিধি নিতাই-মালী,–যতনেতে রোপণ কৈল
সীতানাথের আনা শ্রীচৈতন্য-তরু—নদীয়া-উদ্যানে রোপণ কৈল

আমারি,–‘‘বাড়ে তরু দিনে, দিনে শাখা পত্র অগণনে,
গজাইল যত্নে জল ঢালি।। রে !!
পাইয়া ভকতি-জল,নাম প্রেম দুই ফল
প্রসবিল সে তরু সুন্দর।’’ রে !

দুই ফল প্রসব কৈল
দুই প্রকার ফল ফলল

অপরূপ,–আমার শ্রীচৈতন্য-তরুতে—দুই প্রকার ফল ফলল
আমরি,–নাম আর প্রেম রূপে—দুই প্রকার ফল ফলল

আমরি,–‘সেই দুই ফলের আশে, জীব-পাখী নিত্য আসে,
তারা,–কোলাহল করে নিরস্তর।।’’ রে !!

হরি হরয়ে নমঃ বলি’

কৃষ্ণ যাদবায় নমঃ—হরি হরয়ে নমঃ বলি’
যাদবায় মাধবায় নমঃ—হরি হরয়ে নমঃ বলি’

‘‘কোলাহল করে নিরন্তর।। রে !!
তখন,–আনন্দে নিতাই-মালী, মাথায় লইয়া ডালি’’,

নাম-প্রেম-ফল তুলি’

আমার,–শ্রীচৈতন্য-তরু হইতে—নাম-প্রেম-ফল তুলি’

তাহাতে ভরিয়া ডালি

আমার,–গুণনিধি-তরু-মালী—তাহাতে ভরিয়া ডালি

আমারি,–‘‘দুই ফল সবারে বিলায়।’’ রে।

যেচে বেড়ায় নিতাই-মালী

মাথায় লয়ে নাম-প্রেমের ডালি—যেচে বেড়ায় নিতা-মারলী
আয় তোর,–কে নিবি কে নিবি বলি’—যেচে বেড়ায় নিতাই-মালী
এই,–সুরধুনীর কূলে বুলি বুলি—যেচে বেড়ায় নিতাই-মালী
এই,–নদীয়ার পথে বুলি বুলি—যেচে বেড়ায় নিতাই-মালী

বলে,–কে নিবি রে প্রেম-ফল

নিতাইচাঁদের,–দুনয়নে বহে ধারা অবিরল—বলে,–কে নিবি রে প্রেম-ফল
আমায়,–বিনামূলে কিনিবি রে—বলে,–কে নিবি রে প্রেম-ফল
মুখে,–একবার গৌরহরি বল—বলে,–কে নিবি রে প্রেম-ফল

[মাতন]

‘‘দুই ফল সবারে বিলায়। রে !
নাহি জাতি-ভেদাভেদ,সবার মিটিল খেদ’’,

আমার,–অদোষ-দরশী নিতাই

অযাচিত-কৃপাকারী—আমার,–অদোষ-দরশী নিতাই

নিতাই আমার,–যারে দেখে আপন কাছে

তার,–জাতি, কুল, অধিকার কিছু না বাছে—নিতাই আমার,–আমার,–যারে দেখে

আপন কাছে
দন্তে তৃণ গলবাসে,–করযোড়ে নাম-প্রেম যাচে—নিতাই আমার,–
যারে দেখে আপন কাছে

আমরি,–‘‘নাহি জাতি-ভেদাভেদ,সবার মিটিল খেদ,
আজ,–ফলাস্বাদ সকলেতে পায়।।’’ রে !!

আজ—কলিজীবে সেই প্রেম-ফল খায়

যে ফল,–চিরকালের অনর্পিত—আজ,–কলিজীবে সেই প্রেম-ফল খায়
যে ফল,–গোলোকেও গোপনে ছিল—আজ,–কলিজীবে সেই প্রেম-ফল খায়
কঠোর সাধনে,–কেউ যার সন্ধান পায় নাই—আজ,–কলিজীবে সেই প্রেম-ফল খায়
আমার,–নিতাইচাঁদের করুণায়—আজ,–কলিজীবে সেই প্রেম-ফল খায়

[মাতন]

আমারি,–‘‘ধর ধর লও বলি, আনন্দে নিতাই-মালী,’’

যেচে বেড়ায় নিতাই-মালী

মাথায় লয়ে নাম-প্রেমের ডালি—যেচে বেড়ায় নিতাই-মালী

আমরি,–প্রেমে নাচে প্রেম যাচে

আমার,–গৌর,–প্রেমের মূরতি নিতাই—আমরি,–প্রেমে নাচে প্রেম যাচে

ওগো আমার,–গৌর-প্রেমের মূরতি নিতাই

তাতে,–প্রেম বিনে আর কিছু নাই—ওগো আমার,–গৌর-প্রেমের মূরতি নিতাই

‘কেউ কি দেখেছ ভাই প্রেম মূর্ত্তিমন্ত। রে !
প্রেমের মূরতি আমার প্রভু নিত্যানন্দ।।’’ রে !!

মুখে,–প্রেম প্রেম সবাই বলে

এই,–প্রাকৃত-জগতে সবে-কামকে দেখেই প্রেম বলে
প্রেমের অনুভব নাই তাই—প্রেম বলিতে কামকে বুঝে

‘‘আত্ম-সুখ-ইচ্ছা যাতে তারে বলি কাম ! রে !
কৃষ্ণ-সুখ হেতু কার্য্য ধরে প্রেম-নাম।।’’ রে !!

সেই প্রেমের মূরতি নিতাই

কৃষ্ণ-সুখের একমাত্র উপাদান—সেই প্রেমের মূরতি নিতাই

‘‘প্রেমের মূরতি আমার প্রভু নিত্যানন্দ।।’’ রে !!

প্রেমে চলে প্রেমে বলে

আমার,–গৌরপ্রেমের মূরতি নিতাই—প্রেমে চলে প্রেমে বলে
প্রেম-হিল্লোলে হেলে দূলে—প্রেমে চলে প্রেমে বলে

প্রেমে কোল দেয় আচণ্ডালে

প্রেম-বাহু-পসারিয়ে—প্রেমে কোল দেয় আচণ্ডালে
প্রেম-সুরে আয় আয় বলে-প্রেমে কোল দেয় আচণ্ডালে
প্রেম-দিয়ে চেয়ে আয় আয় বলে—প্রেমে কোল দেয় আচণ্ডালে

বয়ান ভাসে প্রেম-জলে

আয় পতিত আয় বলে –বয়ান ভাসে প্রেম-জলে

প্রেমে নাচে প্রেমে যাচে

আমার,–প্রেমিক নিতাই—প্রেমে নাচে প্রেমে যাচে

ধেয়ে যায় পতিতের কাছে

পতিতের বন্ধু নিতাই—ধেয়ে যায় পতিতের কাছে

কেঁদে কেঁদে তার পুছে

দন্তে তৃণ-গলবাসে—কেঁদে কেঁদে তারে পুছে
আর কে কোথায় পতিত আছে—কেঁদে কেঁদে তারে পুছে
‘‘আর কে কোথায় পতিত আছে’—
পতিত-পাবন নিতাই পুছে—আর কে কোথায় পতিত আছে
পতিতের কাছে নিতাই পুছে—আর কে কোথায় পতিত আছে
ত্বরা করে বল্‌ বল্‌–আর কোথায় পতিত আছে

বাহু তুলে নিতাই ডাকে

এই,–সুরধুনীর কূলে দাঁড়ায়ে—বাহু তুলে নিতাই ডাকে

এই সে সুরধুনী-কূল

এই মধুর নদীয়া—এই সেই সুরধুনী-কূল

পদাঙ্কিত ভূমি রে

ভাগ্যবতী সুরধুনী-কূল—পদাঙ্কিত ভূমি রে
প্রভু-নিতাই-প্রাণ-গৌরাঙ্গের—পদাঙ্কিত ভূমি রে

[মাতন]
আমার পাগলা নিতাই নাচে

পাগলের পারা দিশে হারা—আমার প্রভু নিতাই নাচে
গৌরাঙ্গ-নাম-প্রেম যেচে—আমার প্রভু নিতাই নাচে

[মাতন]
পাগলা নিতাই কেঁদে বলে

এই,–সুরধুনীর কূলে কূলে—পাগলা নিতাই কেঁদে বলে
এই নদীয়ার পথে পথে—পাগলা নিতাই কেঁদে বলে
ভজ প্রাণ শচীদুলালে—পাগলা নিতাই কেঁদে বলে

[মাতন]
বাহু তুলে নিতাই ডাকে

এই,–সুরধুনীর কূলে দাঁড়ায়ে—বাহু তুলে নিতাই ডাকে

আয় কলিহত-জীব

আমার নিতাই ডাকে—আয় কলিহত-জীব

আর তোদের ভয় নাই রে
এসেছে রে তোদের তরে

গোবিন্দ গৌরাঙ্গ হয়ে—এসেছে রে তোদের তরে

‘‘শ্রীনন্দনন্দন, গোপীজন-বল্লভ,
শ্রীরাধা-নায়ক নাগর শ্যাম।’’

রাধা-নায়ক শ্যাম

গোপীজন-বল্লভ-রাধা-নায়ক শ্যাম
‘‘সো শচীনন্দন, নদীয়া-পুরন্দর,’’

শচীসুত হইল সেই

নন্দের নন্দন যেই—শচীসুত হইল সেই

‘‘নন্দসুত বলি যারে ভাগবতে গায়। রে !
সেই কৃষ্ণ অবতীর্ণ চৈতন্য-গোসাঞি।।’’ রে !

তোমরা,–জান না কি কলিজীব

আমার,–নিতাই কেঁদে কেঁদে বলে—তোমরা,–জান না কি কলিজীব
গোবিন্দ গৌরাঙ্গ হল—তোমরা,–জান না কি কলিজীব

‘‘সো শচীনন্দন নদীয়া-পুরন্দর,
সুর-মুনিগণ-মনো-মোহন-ধাম।।’’

আজ,–মাতিল নিতাই রে

গৌর-কথা কইতে কইতে—আজ,–মাতিল নিতাই রে
গৌরাঙ্গ-প্রেমের ভরে—আজ,–মাতিল নিতাই রে

পুলকেতে অঙ্গ ভরা

দুনয়নে শত ধারা—পুলকেতে অঙ্গ ভরা

ভাবাবেশে বলে রে

শ্রীগৌরাঙ্গ-রহস্য—ভাবাবেশে বলে রে

‘‘জয় নিজ-কান্তা,- কান্তি-কলেবর,
জয় নিজ-প্রেয়সী-ভাব-বিনোদ।’’

অপরূপ রহস্য ভাই

দ্বারে দ্বারে,–কেঁদে বলে দয়াল নিতাই—অপরূপ রহস্য ভাই
আমার,–নিগূঢ়-গৌরাঙ্গ-লীলার-অপরূপ রহস্য ভাই

চিরকাল প্রতিজ্ঞা ছিল

অনাদির আদি শ্রীগোবিন্দের—চিরকাল প্রতিজ্ঞা ছিল

আমি তারে তৈছে ভজব

যে আমারে যৈছে ভজবে—আমি তারে তৈছে ভজব

ভজনের প্রতিদান দিব

যে,–আমায় যেমন করে ভজবে—আমি তার,–ভজনের প্রতিদান দিব

সে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হইল

ব্রজ-গোপিকার ভজনে—সে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ হইল

প্রতিদান দিতে নারিল

ব্রজ-গোপিকার ভজনের—প্রতিদান দিতে নারিল

ঋণী হয় ভাগবতে কয়
বলতে হল ‘‘ন পারয়ে হম্‌’’
হইল ইচ্ছার উদগম

মহা,–রাস-রসে খেলতে খেলতে—হইল ইচ্ছার উদগম
শ্রীরাধিকার,—প্রেমে-মাধুর্য্যাধিক্য দেখে—হইল ইচ্ছার উদগম

কে আমায় মুগ্ধ করে

আমি তো ভুবন-মোহন—কে আমায় মুগ্ধ করে

আমি উহার আস্বাদিব

কে আমার মুগ্ধ করছে—আমি উহায় আস্বাদিব

হইল ইচ্ছার উদগম

‘‘কৈছন রাধা-প্রেমা, কৈছন মধুরিমা,
কৈছন সুখে তিঁহো ভোর’’ রে !

শ্রীরাধিকার প্রেম কেমন
সে,–প্রেমের মাধুরী কেমন
সেই প্রেমে কি বা সুখ

‘‘এ তিন বাঞ্ছিত-ধন, ব্রজে নহিল পূরণ,
কি করিবে না পাইয়া ওর।।’’ রে !!
তখন,–‘‘ভাবিয়া দেখিল মনে, শ্রী,–রাধার স্বরূপ বিনে,
এ বাসনা পূর্ণ কভু নয় ! রে।
তাই,–রাধাভাব-কান্তি ধরি, রাধাপ্রেম গুরু করি,
আসি,–নদীয়াতে করল উদয়।।’ রে !!

তোদের ভাগ্যের সীমা নাই

কেঁদে বলে দয়াল নিতাই—তোদের ভাগ্যের সীমা নাই

ও কলিহত-জীব—এসেছে রে তোদের তরে

গোবিন্দ গৌরাঙ্গ হয়ে—এসেছে রে তোদের তরে
‘গোবিন্দ গৌরাঙ্গ হয়ে’—
রাধাভাব-কান্তি লয়ে—গোবিন্দ গৌরাঙ্গ হয়ে

[মাতন]
এসেছে রে তোদের তরে

আসি,–‘‘নদীয়াতে করল উদয়।।’’ রে !!
‘‘ব্রজ-তরুণীগণ,- লোচন-মঙ্গল,
এবে,–নদীয়া—বধূগণ-নয়ন-আমোদ।।’’

এসেছে রে তোদের তরে
আমার,–হাতে ধরে বলে দিয়েছে

নিরজনে বসে কেঁদে কেঁদে—আমার,–হাতে ধরে বলে দিয়েছে
অবিচারে নাম-প্রেম বিলাতে—আমার,–হাতে ধরে বলে দিয়েছে
পতিত খুঁজে নাম-প্রেম দিতে—আমার,–হাতে ধরে বলে দিয়েছে

আয় কলিহত-জীব

আমার নিতাই ডাকে—আয় কলিহত-জীব

আর তোদের ভয় নাই রে

পতিত-পাবন নিতাই বলে—আর তোদের ভয় নাই রে

পাপ তাপ সব আমি নিব

তোদের জন্ম-জন্মার্জিত-পাপ তাপ সব আমি নিব

বিনামূলে বিকাইব

তোদের,–পাপ-তাপের বোঝা নিব—বিনামূলে বিকাইব

বিকাইব প্রেম দিব

একবার গৌরহরি বোল—বিকাইব প্রেম দিব

[মাতন]
কত গুণের নিতাই আমার

‘‘ধর ধর লও বলি, আনন্দে নিতাই-মালী,
আচণ্ডালে ফল বিলাইল। রে !
যে চায় সেই পায়, যে না চায় সেও পায়,’’

আমার,–দাতা-শিরোমণি নিতাই

ভাই রে,–এমন দাতা আর কেহ নাই—আমার,–দাতা-শিরোমণি নিতাই

আমার,–‘‘অক্রোধ-পরমানন্দ শ্রীনিত্যানন্দ রায়। রে !
অভিমান-শূন্য নিতাই নগরে বেড়ায়।। রে !!
অধম-চণ্ডাল-জনার ঘরে ঘরে গিয়া। রে !
ব্রহ্মার দুর্ল্লভ-প্রেম দিছেন যাচিয়া।। রে !!
যে না লয় তারে যাচে দন্তে তৃণ ধরি।’’ রে !

যেন,–কত দায় ঠেকেছে

প্রেম না দিলেই নয়—যেন,–কত দায় ঠেকেছে

আমরি কি করুণা রে

করুণার,–বালাই মরে যাই—আমরি কি করুণা রে

আমরা,–কারে ভজব বল ভাই রে

নিতাই ভজব কি করুণা ভজব—আমরা,–কারে ভজব বল ভাই রে

আমরি কি করুণা রে
যারে তারে যেচে বেড়ায়

যা,–চিরকালের অনর্পিত—তা, যারে তারে যেচে বেড়ায়
যে ধন,–গোলোকে গোপনে ছিল—যারে তারে যেচে বেড়ায়
যে ধন,–ব্রহ্মাদিরও অনুভব ছিল না।–যারে তারে যেচে বেড়ায়
যার সন্ধান কেউ জানত না—যারে তারে যেচে বেড়ায়
যাহা,–সাধনেতেও সুদুর্ল্লভ—যারে তারে যেচে বেড়ায়
কে নিবি কে নিবি বলে—যারে তারে যেচে বেড়ায়
চির,–অনর্পিত প্রেমধন—যারে তারে যেচে বেড়ায়

‘‘যে না লয় তারে যাচে দন্তে তৃণ ধরি। রে !
বলে,–আমারে কিনিয়া লহ ভজ গৌরহরি।।’’ রে !!

আমি,–বিকাইতে এসেছি রে

নিতাই,–কেঁদে বলে জীবের দ্বারে দ্বারে—আমি,–বিকাইতে এসেছি রে

বলে,–আমার কিনে নে রে

বয়ান ভাসে নয়ান-নীরে—আমারে কিনে নে রে

বিকাইব বিনামূলে

নিতাই আমার,–গলবাসে কেঁদে বলে—বিকাইব বিনামূলে
আমায়,–কিনে নে রে গৌরবলে—আমি,–বিকাইব বিনামূলে

[মাতন]

আমার নিতাই বলে,–

‘‘ভজ গৌরাঙ্গ কহ গৌরাঙ্গলহ গৌরাঙ্গের নাম। রে !
যে জন গৌরাঙ্গ ভজে সেই আমার প্রাণ।। রে !!
দিন গেলে হা গৌরাঙ্গ যে বলে একবার। রে !
সে জন আমার হয় আমি হই তার।।’’ রে !!

সে আমার আমি তার

নিতাই—কেঁদে বলে বার বার—সে আমার আমি তার
সে,–হোক না কেন সুদুরাচার—সে আমার আমি তার
যে সে, –কূলে জনম হউকনা তার—সে আমার আমি তার
থাকুক না তার অসদাচার—সে আমার আমি তার
নিতাই,–কেঁদে বলে বার বার—সে আমার আমি তার
যে,–গৌর বলে একবার—সে আমার আমি তার

[মাতন]
আমার নিতাই গুণমণি

গৌর-করুণা-রসের খনি—আমার নিতাই গুণমণি
গৌর-করুণা-মূরতি খানি—আমার নিতাই গুণমণি

[মাতন]
আমার,–দাতা-শিরোমণি নিতাই

‘‘যে চায় সেই পায়, যে না চায় সেও পায়,
যবনেও ফল আস্বাদিল।।’’ রে !!

যবনে পাইয়া খাইয়া নাচে

সেই,–সুদুর্ল্লভ-প্রেমধন—আজ,–যবনে পাইয়া খাইয়া নাচে
গৌরহরি বোলে দিয়ে করতালি—যবনে পাইয়া খাইয়া নাচে

কিছুই দেখতে পেলাম না রে

ও সে,–প্রেম-পুরুষোত্তম-লীলা-কিছুই দেখতে পেলাম না রে
স্থাবর-জঙ্গম,–প্রেমোন্মত্তম-লীলা—কিছুই দেখতে পেলাম না রে
ও সে,–পাষাণ-গলান-লীলা—কিছুই দেখতে পেলাম না রে
ও সে,–সঙ্কীর্ত্তন-নটন-লীলা—কিছুই দেখতে পেলাম না রে

ও,–‘‘গমন নটন-লীলা’’,


আমার,–সীতানাথের আনানিধির-গমন নটন-লীলা
আমার,–নদীয়া-বিনোদিয়ার—গমন নটন-লীলা
আমার,–প্রাণ-শচীদুলালিয়ার—গমন নটন-লীলা
আমার,–শ্রীবাস-অঙ্গনের নাটুয়ার—গমন নটন-লীলা
আমার,–গদাধরের প্রাণ-বঁধুয়া—গমন নটন-লীলা
আমার,–নরহরির চিতচোরের—গামন নটন-লীলা
আমার,–শ্রীসনাতনের গতি-গৌরাঙ্গের –গমন নটন-লীলা
আমার,–শ্রীরূপ-হৃৎকেতন-গোরার—গমন নটন-লীলা
আমার,–শ্রীজীব-জীবন-গোরার—গমন নটন-লীলা
আমার,–দাস-রঘুনাথের সাধনের ধনের—গমন নটন-লীলা
আমার,–লোকনাথের হৃদ্‌বিহারীর—গামন নটন-লীলা
আমার,–শ্রীগোপালভট্টের প্রাণ-গৌরাঙ্গের—গমন নটন-লীলা
আমার,–শ্রীপ্রকাশানন্দের নয়নানন্দের—গমন নটন-লীলা
আমার,–সার্ব্বভৌমের চৈতন্য-দাতার—গমন নটন-লীলা
আমার,–রাজা-প্রতাপরুদ্রের ত্রাণকারীর—গমন নটন-লীলা
আমার,–শ্রীস্বরূপের সবর্বস্ব-ধনের—গমন নটন-লীলা
আমার,–শ্রীরামরায়ের চিতচোরের—গমন নটন-লীলা
আমার,–নিতাই পাগল করা গোরার—গমন নটন-লীলা

[মাতন]

ও,–‘‘গমন নটন-লীলা, বচন সঙ্গীত-কলা,’’

চলে যেতে নেচে যায়

নাটুয়া মূরতি গৌর আমার—চলে যেতে নেচে যায়
নাটুয়া মূরতি নটন-গতি—চলে যেতে নেচে যায়
ভাব-হিল্লোলে হেলে দুলে—চলে যেতে নেচে যায়

‘‘গমন নটন-লীলা, বচন সঙ্গীত-কলা,’’

সঙ্গীতেতে কথা কয়

চলে যেতে নেচে যায়—সঙ্গীতেতে কথা কয়
ওগো আমার,–রসের গোরা চিতচোরা,–সঙ্গীতেতে কথা কয়

যেন,–কতশত-কোকিল কুহরিছে

পঞ্চ ম-রাগ-জিনি-যেন,–কতশত কোকিল কুহরিছে

না না তাতে তুলনা হয় না
যেন,–অমিয়া-সিন্ধু উথলিছে

জগৎ,–অমৃতময় করবে বলে—যেন,–অমিয়া-সিন্ধু উথলিছে
আমার,–গৌরহরি হরি বলিছে—যেন,–অমিয়া-সিন্ধু উথলিছে

[মাতন]

‘‘মধুর চাহনি আকর্ষণ।’’

তারই আঁখি মন হরে

একবার যারে হেরে—তারই আঁখি মন হরে
‘একবার যারে হেরে’—
গৌর’—হরিবোলে নেচে নেচে—একবার যারে হেরে

[মাতন]
তারই আঁখি মন হরে
তার আর,–কিছুই ভাল লাগে না রে

তার আর এ সংসারে—কিছুই ভাল লাগে না রে
প্রাকৃত-ভোগ-সুখ-বিলাস—কিছুই ভাল লাগে না রে

কাকেও কিছু বলতে নারে
নিশিদিশি গুণেতে ঝুরে

ও সে,–নিরজনে আপন মনে—নিশিদিশি গুণেতে ঝুরে

পাঁজর ঝাঁঝর হয়ে যায় রে

গুণ স্মঙরি গুমরি গুমরি—পাঁজর ঝাঁঝর হয়ে যায় রে

পাগল হয়ে বেড়ায় রে

কূলে তিলাঞ্জলি দিয়ে—পাগল হয়ে বেড়ায় রে
গৌর-প্রেমের কাঙ্গাল বেশে—লাগল হয়ে বেড়ায় রে
যারে দেখে তার পায়েতে পড়ে—পাগল হয়ে বেড়ায় রে

যারে দেখে তার পায়েতে পড়ে

মেচ্ছ-যবনাদি-নরনারী—যারে দেখে তার পায়েতে পড়ে

বলে,–দয়া করে বলে দাও

কেমন করে গৌর পাব—বলে,–দয়া করে বলে দাও

না জানি সে কত সুখ

গৌর-প্রেমের পাগল হওয়া—না জানি সে কত সুখ

কিছু,–অনুভব ত’ হল না রে

সাজ সেজে লোক ভাঁড়ালাম—কিছু,–অনুভব ত’ হল না রে

প্রাণ ত’ পাগল হল না রে

সাজ সেজে লোক ভাঁড়ালাম—প্রাণ ত’ পাগল হল না রে

ভ্রমিয়ে বেড়াই দেশ-বিদেশে

কপট-বৈষ্ণব-বেশে—ভ্রমিয়ে বেড়াই দেশ-বিদেশে
লাভ, পূজা, প্রতিষ্ঠার আশে—ভ্রমিয়ে বেড়াই দেশ-বিদেশে

একদিন ত’ ভজলাম না রে

নিষ্কপটে গোরা-পহুঁ—কোই,–একদিন ত’ ভজলাম না রে

ভুলেও একবার বললাম না রে

গৌর,–আমি তোমার হলাম বলে—ভুলেও একবার বললাম না রে

না জানি সে কতই সুখ
নইলে,–কেন বা হবে রে
কিসের অভাব ছিল ভাই

শ্রীরূপ-শ্রীসনাতনের—কিসের অভাব ছিল ভাই
দাস-রঘুনাথের—কিসের অভাব ছিল ভাই

ও—‘‘যার গুণে ঝুরি ঝুরি রূপ সনাতন। রে !
সকল ঐশ্বর্য্য ছাড়ি গেলা বৃন্দাবন।।’’ রে !!

আগে চলি’ গেলা শ্রীরূপ

প্রাণ,–গৌর-আজ্ঞা শিরে ধরি’—আগে চলি’ গেলা শ্রীরূপ
অতুল,–ঐশ্বর্য্য বাম-পদে ঠেলি’—আগে চলি’ গেলা শ্রীরূপ

শ্রী,–‘‘রূপের বৈরাগ্য-কালে, সনাতন বন্দীশালে,
বিষাদ ভাবয়ে মনে মনে।
রূপে রে করুণা করি, উদ্ধারিলা গৌরহরি,
মো-অধমে না কৈলা স্মরণে।।’’

তোমার কোন দোষ নাই প্রভু

সকলই আমার করমের দোষ—তোমার কোনও দোষ নাই প্রভু

‘‘মোর কর্ম্ম-দোষ-ফাঁদে, হাতে পায়ে গলে বাঁধে,
রাখিয়াছে কারাগারে ফেলি।
আপন-করুণা-পাশে, দৃঢ় করি’ ধরি’ কেশে,
চরণ-নিকটে লেহ তুলি।।’’

সেই দশা হয়েছে প্রভু

বিলাপিছেন সনাতন—আমার,–সেই দশা হয়েছে প্রভু

‘‘পশ্চাতে অগাধ-জল, দুই-পাশে দাবানল
সম্মুখে সাধিল ব্যাধ বাণ।
কাতরে হরিণী ডাকে, পড়িয়া বিষম-পাকে,
এইবার কর পরিত্রাণ।।’’

তোমা বিনে আর কেউ নাই প্রভু

আমায়,–এ বিপদে উদ্ধারিতে—তোমা বিনে আর কেউ নাই প্রভু

বন্দীশালে,–বিলাপেছেন সনাতন

‘‘হেন কালে একজনে, অলখিতে সনাতনে,
পত্রী দিল রূপের লিখন।’’
‘‘পত্রী পড়ি করিলা গোপন।।
মনে আনন্দিত হইয়া—পত্রী পড়ি করিলা গোপন।।’’


‘‘শ্রীরূপের বড় ভাই, সনাতন গোসাঞি,
পাত্‌সার উজির হৈয়া ছিলা।
শ্রীরূপের পত্রী পাঞা, বন্দী হইতে পলাইয়া,
কাশীপুরে গৌরাঙ্গ ভেটিলা।।’’

অপরূপ সে মিলন-রঙ্গ
বসিয়াছেন সনাতন

দীন-হীন-কাঙ্গালের বেশে—বসিয়াছেন সনাতন,
তপন-মিশ্রের দ্বারে—বসিয়াছেন সনাতন

প্রাণে প্রাণে জানি গৌর-সুন্দর
ডাকিলেন শ্রীসনাতন

লোক-দ্বারে শ্রীগৌর-সুন্দর—ডাকিলেন শ্রীসনাতন

চলিলেন সনাতন

প্রাণ-গৌরাঙ্গের আজ্ঞা পেয়ে—চলিলেন সনাতন

‘‘ছেঁড়া বস্ত্র, অঙ্গে মলি, হাতে নখ, মাথে চুলি,
নিকটে যাইতে অঙ্গ হালে।
দুই গুচ্ছ তৃণ করি, এক গুচ্ছ দন্তে ধরি,
পড়িলা গৌরাঙ্গ-পদতলে।।’’

সনাতনে করেন কোলে

আইস আইস আইস বলে—সনাতনে করেন কোলে

কাতরে সনাতন বলে
আমায় তুমি ছোঁয়া না প্রভু

আমি,–তোমা-স্পর্শের যোগ্য নই—আমায় তুমি ছুঁয়ো না প্রভু
আমি,–জন্মাবধি যখন-সেবী—আমায় তুমি ছুঁয়ো না প্রভু

এ দৈন্য কি জগতে আছে

আমরা,–গরব করে বলতে পারি—এ দৈন্য কি জগতে আছে
প্রাণ,–গৌরদাসের দৈন্যের মত—এ দৈন্য কি জগতে আছে
গৌরদাসর দৈন্যের কাছে—এ দৈন্য কি জগতে আছে

মানিলেন না গৌরহরি
বাহু পসারি করিলেন কোলে

আইস সনাতন বলে—বাহু পসারি’ করিলেন কোলে

শক্তি দিয়া পাঠালেন ব্রজে

লুপ্ত-ব্রজ উদ্ধার কাজে—শক্তি দিয়া পাঠালেন ব্রজে

যান সনাতন ব্রজের পথে

প্রাণ,–গৌর-আজ্ঞা ধরি’ মাথে—যান সনাতন ব্রজের পথে

যায় যায় ফিরে চায়

গৌর-মুখচন্দ্র-পানে—যায় যায় ফিরে চায়

আর কি দেখা পাব হে

সোণার গৌরাঙ্গ-প্রভু—আর কি দেখা পাব হে

[মাতন]

‘‘ছেঁড়া কাঁথা নেড়া মাতা, মুখে কৃষ্ণ-গুণ-গাথা,
পরিধানে ছেঁড়া বহির্ব্বাস।’’

ভাই রে,–তারাই ত’ চৈতন্য দাস
তারা,–আদর্শ চৈতন্যের দাস
আমি,–নামে কলঙ্ক রটালাম

দাস বলে পরিচয় দিয়ে,–আমি,–নামে কলঙ্ক রটালাম

[মাতন]

ও,–‘‘যাঁর গুণে ঝুরি ঝুরি রঘুনাথ-দাস। রে !
ইন্দ্র-সম-রাজ্য ছাড়ি রাধাকুণ্ডে বাস।।’’ রে !!

তরুতলে কৈলা বাস

অতুল,–ঐশ্বর্য্য বাম-পদে ঠেলে—তরুতলে কৈলা বাস
পরিধান,–ছেঁড়া-কাঁথা বহির্ব্বাস—তরুতলে কৈলা বাস

নিশিদিশি হা হুতাশ

শ্রীরাধাকুণ্ড-তীরে পড়ি’—নিশিদিশি হা হুতাশ

কিছুই দেখতে পেলাম না রে
কারো দেখা পেলাম না রে

সে দাস কই সে প্রভু কই—কারো দেখা পেলাম না রে

সে দাস কই সে প্রভু কই

সে মধুর-লীলা কই—সে দাস কই সে প্রভু কই

[মাতন]
আমরা,–কিছুই দেখতে পেলাম না রে
এই ত’ মধুর নদীয়া

গৌরের নিত্য-লীলা-ভূমি—এই ত’ মধুর নদীয়া

আজও হতেছে সেই লীলা
ভাগ্যবান জনে দেখছে

যার,–প্রেম-নেত্রের বিকাশ হয়েছে—সেই,–ভাগ্যবান জনে দেখছে
‘যার,–প্রেম-নেত্রের বিকাশ হয়েছে—
শ্রীগুরু-কৃপায়—যার,–প্রেম-নেত্র্রে বিকাশ হয়েছে

[মাতন]
সেই,–ভাগ্যবান জনে দেখছে

অদ্যাপিও সেই প্রকট-লীলা—সেই,–ভাগ্যবান জনে দেখছে

আমরা কেবল দেখব

আরম্ভিলাম নাম-যজ্ঞ—আমরা কেবল দেখব

আরম্ভিলাম নাম-যজ্ঞ

প্রাণ নিতাই গৌর দেখব—আরম্ভিলাম নাম-যজ্ঞ

দেখিতে ত পেলাম না রে

সপ্তাহ শেষ হতে গেল—দেখিতে ত’ পেলাম না রে
সেই,–সঙ্কীর্ত্তন-সুলম্পটে—দেখিতে ত’ পেলাম না রে

আর আমরা,–কেমন করে দেখব
আর আমাদের কে বা আছে

আমার বলতে এ জগতে—আর আমাদের কে বা আছে

পরম-করুণ শ্রীগুরুদেব
কিছুতেই ত’ জানতাম না

খেলারসে মেতে ছিলাম—কিছুই ত’ জানতাম না

কৃপা করে জানাইলে

সংসার,–নরক হতে টেনে তুলে—কৃপা করে জানাইলে
নিগূঢ়-গৌরাঙ্গ-লীলা—কৃপা করে জানাইলে

দেখাইবে বলে ছিলে

ফাঁকি দিয়ে লুকাইলে—দেখাইবে বলে ছিলে

লুকাইয়ে করছ খেলা

এই মধুর-নদীয়ায়—লুকাইয়ে করছ খেলা
নিতাই গৌরাঙ্গ লয়ে—লুকাইয়ে করছ খেলা

একবার দেখা দাও

পরম-করুণ শ্রীগুরুদেব—একবার দেখা দাও
এই,–সঙ্কীর্ত্তন-যজ্ঞে—একবার দেখা দাও
‘এই,–সঙ্কীর্ত্তন-যজ্ঞে’—
প্রাণ,–নিতাই গৌরাঙ্গ লয়ে—এই,–সঙ্কীর্ত্তন-যজ্ঞে

[মাতন]
একবার দেখা দাও

কীর্ত্তন-নটন-রঙ্গে—একবার দেখা দাও
‘কীর্ত্তন-নটন-রঙ্গে’—
প্রাণ,–নিতাই-গৌর-সঙ্গে—কীর্ত্তন-নটন-রঙ্গে

একবার দেখা দাও
হৃদিপটে এঁকে নিব

চিতচোরা মূরতি খানি—হৃদিপটে এঁকে নিব
শ্রীগুরু-গৌরাঙ্গ-বিহার—হৃদিপটে এঁকে নিব

[মাতন]
প্রাণ ভরে গাইব

ভাই ভাই এক প্রাণে—প্রাণ ভরে গাইব

‘‘ভজ, নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ, হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’ [মাতন]



অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ