“সুবল, সে ধনী কে কহ বটে।
গোরোচনা গোরী নবীনা কিশোরী
নাহিতে দেখিলু ঘাটে।।
শুনহে পরাণ সুবল সাঙ্গাতি
কো ধনী মাজিছে গা।
যমুনার তীরে বসি তার নীরে
পায়ের উপরে পা।।
অঙ্গের বসন করেছে আসন
এলায়ে দিয়াছে বেণী।
উচ কুচমূলে হেম হার দোলে
সুমেরু-শিখর জিনি।।
সিনিয়া উঠিতে নিতম্ব তটীতে
পড়েছে চিকুররাশি।
কাঁদিয়ে আঁধারে কনক চাঁদার
শরণ লইল আসি।।
কিবা সে দু’গুলি শঙ্খ ঝলমলি
সরু সরু শশিকলা।
সাঁঝেতে উদয় যেন সুধাময়
দেখিয়ে হইলু ভোলা।
চলে নীল শাড়ী নিঙ্গাড়ি নিঙ্গাড়ি
পরাণ সহিত মোর।
সেই হৈতে মোর হিয়া নহে থির
মনমথ জ্বরে ভোর।।”
কহে চণ্ডীদাসে বাশুলী -আদেশে
শুনেহে নাগর চন্দা।
সে যে বৃকভানু রাজার নন্দিনী
নাম বিনোদিনী রাধা।।