“আর কি পরাণে জীব।
তোমা ধন ছাড়ি কেমনে বঞ্চিব
এখনি পরাণ দিব।।”
যশোদা রোহিণী চাঁদ-মুখ চেয়ে
কাঁদয়ে করুণ স্বরে।
হিয়া আনচান কি যেন করিছে
পরাণ কেমন করে।।
মায়ের পরাণ ধৈরজ না রহে
বিষম বেদনা পেয়া।
অচেতন তনু পড়িয়া ভূতলে
হলধর পানে চেয়া।।
“আর যে কাহারে আনিয়া নবনী
সে চাঁদ-বয়ানে দিব।
ঘনে ঘনে মুখ– দূরে যাবে দুখ
এ শোকে কেমনে জীব।।
শুন নন্দ ঘোষ, আমার বচন
গোপালে বিদায় দিয়া।
এ ঘর-দুয়ারে আনল ভেজায়ে
যাব সে বাহির হয়া।।
আঁখি গেলে তার কি ছার জীবনে
বাঁচিতে কি আর সাধ।
অনেক তপের ফল-পরশনে
বিহি যে করিল বাদ।।”
* * * * * *
* * * *
চণ্ডীদাস কহে– “শুন গো জননি,
এই সে ভালই মানি।।”