ইঙ্গিত বুঝিয়া নাগর আসিয়া
ধরিল রাইএর করে।
সে সব আটপ সাটপ দেখিয়া
রাধিকা ডরলি ডরে।।
ভয়ে ভীতা বালা গেল সব কলা
মুখে না নিঃসরে রা।
হিয়া দুলু দুলু চাহে ঢুলু ঢুলু
আউলাইল সব গা।।
হেরিয়া লক্ষণ নাগর তখন
ধনীরে ধরিল চোর।
মাগয়ে মুরলি উকটে কাঁচুলি
মদনে হইয়া ভোর।।
ধনী কহে কান কর অবধান
ললিতা লইল বাঁশী।
তোমারে চঞ্চল দেখিয়া সকল
রমণী করয়ে হাসি।।
রাইয়ের বচনে চলিলা তখনে
মদনমোহন রায়।
ললিতা জানিয়া কহয়ে ঠারিয়া
মুরলি বিশাখা ঠাঁয়।।
ললিতা বচন বুঝিয়া তখন
বিশাখা সাটোপে বলে।
তোমার মুরলি দেখিলুঁ এ বেলি
চম্পকলতার কোলে।।
শুনিয়া বচন তরাসে তখন
কহয়ে চম্পকলতা।
তুঙ্গবিদ্যাপাশে মুরলি রাখিয়া
ইন্দুলেখা গেল কোথা।।
চিত্রা চমকিতা চলিলা তুরিতা
দেখিয়া এসব রঙ্গ।
রঙ্গদেবী পাশে বসিলা তরাসে
সুদেবী তাহার সঙ্গ।।
নাগর শেখর না পাই ঠাহর
সভারে ধরিয়া বুলে।
সকল যুবতি করিয়া যুকতি
বসিলা মাধবী মূলে।।
হাসিয়া ললিতা রুষি কহে কথা
শুনহে নাগররাজ।
তরল বাঁশের শুখান কাঠ তো
তাহাতে কাহার কাজ।।
ফোরা কাঠিখান কি তার বাখন
কহিতে না বাস লাজ।
মাগিহ আমারে দিব যে তোমারে
যদি বা থাকয়ে কাজ।।
তাহার বচন শুনিয়া তখন
কহয়ে শেখর রায়।
শুনহ নাগর না হও কাতর
মুরলি ধনীর ঠাঁয়।।