এইরূপে হর ভোলা মহেশ্বর
করিল দরশ স্নেহে।।
নন্দরাণী কহে — “মোর ভাগ্য *
* * গৃহে ।।
কিছু ভিক্ষা লহ ওহে যুগিবর
এই মোর মনে ভায়ে।
হেন জনে তেজি আনে বিনা *
* * আমি কায়ে ।।
তবে কহে জোগি- “শুন, নন্দরাণি,
কি আছে ভিক্ষার ফলে।
কোটি কোটি যুগ ফল * * *
পাইলে আপন কোলে।।
তোমার নন্দনে দেখি মোর মন
হরস হইল বড়ি
ইহারে দেখিতে বড় সাধ * *
* * না পারি ছাড়ি।।
ইহার দরশে কত হয় ফল
কহনে নাহিক যায়ে।
এজন তুমার মন্দিরে বিহরে
* * * তায়ে।
জবে তুমি হর– গৌরী আরাধনে
বহুক তপের ফলে।
কিছু কিছু তাহা মোর মনে পড়ে
* * * * ।।
তাহে হর-গৌরী কৃপাবান হয়া
দিলা সে তুমারে বর।
সেই ফল ইথে এমন সম্পদ
পাইলে * * ।।”
এ কথা জখন শুনি জোগি-মুখে
সন্দেহ পাইল রাণী।
চণ্ডিদাস কহে আগম জখন
সে কথা * * ।।