এক কথা বড় মনেতে হইল
নাপিতানী বেশ করি।
যাইয়া জাবটে রাধার আগেতে
কামাব চরণ ধরি।।
জল দিয়া তাহে পাখালিয়া পায়ে
আলতা পরঞা দিব।
সে রাঙ্গা চরণ কমল-তলেতে
নিজ নাম লেখ্যা দিব।।
শুনিয়া সুবল কহয়ে তখন
কি বলিতে পারি আমি।
যাহাই করিলে আনন্দ হইব
তাহাই করহ তুমি।।
নাপিতানী বেশ ধরিতে তখন
সুরঞ্জ বসন পরে।
চূড়াটি এলায়া লোটন বান্ধিল
পিঠের উপরে দুলে।।
সিঁথায়ে সিন্দুর নাসায়ে বেশর
কিবা অপরূপ হৈল।
শঙ্খ তাড় আর করে অভরণ
সুবল পরায়ে দিল।।
রমণীর বেশ ধরেন তখন
লয়া নাপিতানী সাজ।
কহে জ্ঞানদাস চলিল তখন
রসিক নাগররাজ।।