এক ভাব দেখ উদ্ধব হইল
তিন ভাব তাহা নয়।
ভাবের শকতি দরসাএ কত
অনুভাব দেখ হয়।।
আগেতে কহিল প্রেম সে বৈচিত্র
ভাবনা দরশ বশে।
ক্ষেণেক দরশে ক্ষেণেক পরশে
ক্ষেণেক বিরহ ঝরে।।
সেই সে বৈচিত্র রস কহিয়াছি
এবে সে ভাবের রস।
মাথুর কারণ রশপুষ্ট লাগি
ইহাতে জগত বশ।।
রস পরিমল রসে ঢল ঢল
আর দশা আসি ভেল।
ভাব-রশ কহি অনুভাবে এই
ভাবে ভাবে যতি দেল।।
এখন বিরহ অগোচর অতি
গোচর নাহিক দেখি।
অতএব হয় বিরহ দশার
সেই সে কমলমুখি।।
রসের সমুদ্র ভাবিতে ভাবিতে
অগাধ সায়র মানি।
বাঙ্গা টুনি যেন খাইবারে চাহে
মহা সমুদ্রের পানি।।
চণ্ডীদাস কহে– সুন সুধামুখি,
দূত-মুখে সুনি বানি।
বিসম বিরহ দূরে তেয়াগিয়া
সুনহ রমনী ধনি।।