এথা নন্দ-ঘরে আনন্দ বাঁধাই
জতেক গোপের পাড়া।
আনন্দ-মগন জত গোপগণ
দিছে জঅ জঅ সাড়া।।
দুন্দুভি বাজনা কাংস্য করতাল
ভেঊর মৃদঙ্গ ডম্ফ।
কাড়া সে দগড়ি ঢাক ঢোল আদি
বাজে আর জগঝম্ফ।।
ভুরুঙ্গ মহুরী লাখে লক্ষ কত
বাজন শুনিএ সাড়া।
বাদ্যের শবদি কিছুই না শুনি
শ্রবনে না শুনি বাড়া ।।
গোকুল-নগরে বাদ্যের শবদে
নাচএ ধরণী ধরা।
কেহো সে আপন আপনা না জানে
সুখেতে হইআ ভোরা।।
কোলের বালক কান্দিআ বিকল
না খাএ মায়ের স্তন ।
পরকান কিছু শুনিতে না পাএ
একদৃষ্টে রহে মন।।
নিদ্রা গেল দূরে বাদ্যের শবদে
গোকুলে জতেক লোক।
আনন্দে মগন জত গোপগণ
নাহি জানে কিছু শোক।।
সুখের সায়রে আহিরিণী জত
নাহি জানে দিবা নিশি।
জেমত ঢালিয়া কেহু সে আনিঞা
দিলেক অমিআ রাশি।।
নন্দের মহলে আনন্দ বাধাই
লুটি ভাণ্ডার জত।
বিপ্র গণে দেই দুগ্ধবতি গাভি
যুথে যুথে কত শত।।
কনক রজত বস্ত্র অলঙ্কার
দিছেন বিপ্রেরে দান।
জত বিপ্রগণ আশীষ করণ
করেন মঙ্গল গান।।
মঙ্গল-উঠান করেন রসাল
শিরে দিএ দুর্ব্বাধান ।
যুগে যুগে জিঅ না হঅ্য মাণ্ড আউনিছ
ইহাতে নাহিক আন।।
নানা উপচার বিবিধ মিষ্টান্ন
শাকর মিঠাই আদি।
নানা সে মধুর রম্ভা নারিকেল
আনি জগাইল বিধি।।
লাখ লক্ষ কত কোটি শত শত
ধেনু আনি নিজজিআ।
* * * * *
গিআ শিবালএ তাহার মন্দিরে
শিরেতে ঢালিছে দুগ্ধ।
পূজক ব্রাহ্মণ- পুত্র জত জন
মহাদেব হয় স্নিগ্ধ।।
নানা দেবা দেবী সভাকারে সেবি
পূজল বিধান-মতে।
চণ্ডিদাস কহে কিবা সে আনন্দ
কি দেখিএ চাতুর্ভিতে।।