এসব বচন শুনিঞা উদ্ধব
চিন্তিত হইলা মনে।
রাধার আরতি শুনিতে পিরিতি
কোহো না জানয়ে প্রেমে ।।
কাষ্ঠের পুতলি জেমন থাকয়ে
না ফুরে বচন শ্বাস।
ভকতি কি রিতি দেখিয়া উদ্ধব
কহেন একটি ভাষ।।–
“শুন সুধামুখি, শুনি ভেল দুখি
নহেত এমনি কাজ।
এহেন পিরিতি এড়িয়া জুবতি
গেছেন রসিক-রাজ।।
চিত কর স্থির সুনহ সুন্দরি,
তেজহ দারুণ মতি।
হেন দেখি মনে তেজহ পরাণে
বুঝি যে হেনক গতি।।
তেজিয়াছ সুখ শ্রীমুখমণ্ডল
দেখি যে আন্ধার সম।
বচন কহিতে নাহিক সকতি
ক্ষণেকে হইছ ভ্রম।।
কোটি চান্দ জিনি জাউক নিছনি
ও মুখমণ্ডল-আভা।
সো বিধু মণ্ডল মলিন হঞাছে
চকোর করিতে লোভা।।”
চণ্ডীদাস কহে– বিরহের মোহে
সিঞ্চিত হইল অঙ্গ।
অলপ বয়সে এ হেন বিরহে
ততক্ষণে রহে রঙ্গ।।