এ কথা পরোক্ষে যখন শুনল
শ্রবণে পশিল আসি।
নন্দের নন্দন পাইল বেদন
শ্রীবুকে ঠেকিল বাঁশী।।
চাঁদ-মুখ মহী- তলে নিরখিয়া
ভাবিতে লাগিল মনে।
‘কেমনে কহিব নন্দের বিদায়’–
চাহি হলধর পানে।।
“অনেক করিল বিলাস বৈভব
ধন্য সে যশোদা মাই।
যার এক কলা গৃহের কথন
খুঁজিয়া পাইতে নাই।।
কত কত আছে এ মহীমণ্ডলে
আছে অনেকের মাতা।
এমন না শুনি না দেখি না গুণি
তাহে নন্দঘোষ পিতা।।
এ হেন ঘোষেরে বিদায় করিতে
মোর মনে নাহি লয়।
বিদায় করিতে যবে মনে করি
পরাণ নাহিক রয়।।”
চণ্ডীদাস কহে– “অতি বড় মোহে
লোরে ছল ছল আঁখি।
নন্দের নন্দন পাইয়া বেদন
বড় পরমাদ দেখি।।”