এ কথা সকল শুনিতে জসদা
চাহিআ বালক-পানে।
বৈকণ্ঠের সুখ কতেক মানল
হইল আনন্দ মনে।।
তবে নন্দ-সুত মধুর হাসিআ
পিয়েন মায়ের স্তন।
জোগী-পানে বালা কটাক্ষ করিলা
দুহে দুহা ভেল মন।।
কটাক্ষ ইঙ্গিতে হর সে জানল
সেই ছায়ালের বানি।
‘হরি হরি’ বলি নাচেন আনন্দে
দিলা সে শিঙ্গার ধ্বনি।।
তেজিআ নন্দের মন্দির হর সে
হইলা ব্রজের বালা।
কতি গেল তার সে শিঙ্গা ডম্বরু
করে শিশু সঙ্গে খেলা।।
দ্বাদশ বালক তার মুখ্য জন
ইহো সে সুবল সখা।
কৃষ্ণ অন্বেষণ জোগীর ভূষণ
গেছিল করিতে দেখা ।।
অপার মহিমা দেবতার কথা
এ লীলা কহিল তত্ত্ব।
চণ্ডিদাস কহে ব্রজলীলা-গীত
যম * লভিলা সত্য ।।