এ বোল শুনিয়া বৃকভানু রাজা
মগন হইলা চিতে।
“তোমারে কি দিয়া আমি সে তুষিব
কি তোরে আছয়ে দিতে।।
পরাণ কাড়িয়া দিই তোমা হাতে
তুব সে শোধন নয়।
কোন বস্তু দিয়া তোমা সুখী করি
হেন মোর মনে হয়।।”
করেতে ধরিয়া বাহির হইলা
সেই শিশু লই সঙ্গে।
নানা রত্ন আদি কনকের মালা
দিল হরষিত রঙ্গে।।
মণি-মাণিকের মালা অতি শোভা
দিল সে এ পঞ্চজনে।
মকর-কুণ্ডল দোহারিয়া দিল
অতি আনন্দিত মনে।।
সোনার পদক অতি মনোহর
তাহে তাড়বালা শোভে।
বিচিত্র বসন সোনায় জড়িত
দিল মহারাজ তবে।।
বহুত কাঞ্চন রজত পূরিয়া
যুতে যুতে দিল যত।
হরষ বদনে তুষি পঞ্চজনে
আদর করিল কত।।
চণ্ডীদাস তাই দেখে দাঁড়াইয়া
বৃকভানু ধরি করে।
আদর করিয়া ভক্ষ্যের সামগ্রী
কত আনি দিল তারে।।