এ সব বচন ভাবিতে ভাবিতে
অক্রূর চলিয়া যায়।
প্রেমের স্বভাবে রসে আবেশিয়া
পুলক হইছে গায়।।
যেমন কদম্ব- কেশর ফুটল
তৈছন অক্রূর-দেহা।
প্রেম-অশ্রুজলে আঁখি ঢল ঢল
বিসরল নিজ-গেহা।।
স্বেদবিন্দু অতি ক্ষেণেক চেতন
ক্ষেণেক অবশ হয়
ভাবের বিকারে আপনা পাশরে
আপনার বশ নয়।।
“কংস রাজা হইতে আমার হইল
ও পদ-দর্শন-লেহ।
সে রাঙ্গা চরণে লোটায়ে পড়িব
নিজ আপনার দেহ।।
কিবা সুখদশা সুখে নাহি সীমা
জনম সফল মানি।
প্রভুর চরণ দেখিব নয়নে
কহিব বচন-বাণী।।
যে পদ-পরশ- আশে অবিরত
ব্রহ্মাদি যতেক দেবা।
বৃন্দাবনে আসি তরুলতা হয়ে
থাকিয়া করয়ে সেবা।।
দেব শূলপাণি অবিরত গুণি
গাইতে পরম সুখে।
মুনি ঋষিগণ করয়ে স্তবন
অতি সে পরম সুখে।
গোকুল-ঈশ্বর গোকুলে আসিয়ে
জন্মিলা নন্দের ঘরে।”
চণ্ডীদাস বলে– “হেনক সম্পদ
হেরিব মনের সরে।।”