ঐছন ধরণী তিলেক দাণ্ডাই
ব্রহ্মার পলক-ছায়া।
চৌদ্দ মন্বন্তর গেলা কত যুগ
জেমত বিশ্বক কায়া।।
হেনক সমএ প্রভু ভগবান্‌
নিদ্রাএ উঠিল পুনি।
আখি কচালিয়্যা প্রিয়া পানে চায়্যা
কহেন মধুর বাণী।।
ভৃঙ্গারের জল আনি জগাইল
সেই লক্ষ্মী দেবরাণী।
কর জোড় করি কহিতে লাগিলা
সেই সে গাভী রাণী।।
কটাক্ষ ইঙ্গিতে চাহি দয়াময় —
“কেনবা আইলে হেথা ?”
কহিতে লাগল সকল বৃত্তান্ত
পুরব কাহিনী-কথা।।
কহেন ধরণী— “শুন,–“চক্রপাণি
হাসিয়া মুদিলা আখি।
ধিয়ানে জানল সকল বৃত্তান্ত
পাইল অসুর সাখি।।
সত্য ত্রেতা গেল দ্বাপর হইল
তিন জন্ম গতি প্রায়।
কংস দ্বাপরে জন্ম,মুক্তি লাগি
আপন স্বভাবে ধায়।।
” ‘পুন মুক্ত হব’, পুরুব কাহিনী
আমার বচন আছে।”
জানিঞা সকল প্রভু গদাধর
পুন সে কারণ পুছে।।
“কহ, বসুমতি কি তোর দুর্গতি
শ্রবণ ভরিয়া শুনি।”
কহে চণ্ডীদাস — “কহ, বসুমতি
পুরুব-বৃত্তান্ত বাণী।।”