“ওঝা বেজা আন গিয়া পাইয়াছে ভূতা।
কাঁপি ঝাঁপি উঠে ঐ বৃকভানু সুতা।।”
কালা কানুর বরণ চিকণ যবে পড়ে মনে।
মূরছি পড়িয়া ধনী কাঁদে ভূম খানে।।
রক্ষা অক্ষা মন্ত্র পড়ে ধরি ধনীর চুলে।
কেহ বলে–“আনি দেহ কালার গলার ফুলে।।
কালিয়া কোঙর থাকে কদম্বের ডালে।
বালিকা দেখিয়া পাইয়াছে শিশুকালে।।
চেতন পাইয়া তবে উঠিবেক বালা।
ভূত প্রেত ঘুচিবেক যাবে অঙ্গের জ্বালা।।
চণ্ডীদাস কহে–“সবে যারে কহ ভূত।
সে শ্যাম কালিয়া চিকণ নন্দঘোষের পূত।।”