ও মোর বাছনি ধনি সতীকুলশিরোমণি
ক্ষণেক বিশ্রাম কর সুখে।
না হয় উছর বেলা সখী সঙ্গে কর খেলা
কর্পূর তাম্বূল দেও মুখে।।
রূপে গুণে কাজে তোর পরাণ নিছনি মোর
শূতিয়া স্বপনে দেখি সদা।
তোমা হেন গুণনিধি আমারে না দিল বিধি
হৃদয়ে রহিয়া গেল সাধা।।
ধাতার মাথায় বাজ যেন হেন করে কাজ
আমাতে ভাণ্ডিল কোন দোষে।
কানুর বিবাহ তরে হেন নারী নাহি পুরে
চাহিয়া না পাই কোন দেশে।।
যশোদা বিষাদকথা শুনি বৃষভানুসূতা
বদনে বসন দিয়া হাসে।
পুলকে পুরল গা মুখে না নিঃসরে রা
ভাসিল রাণীর স্নেহ রসে।।
শেখর সরস করি কহে শুন ব্রজেশ্বরি
রাধিকা তোমার হেন জানি।
সখা সব পূরে বেণু খড়িকে ডাকিছে ধেনু
সাজাহ রাখাল শিরোমণি।।