কহে তবে পুন পুতুনা রাক্ষসী–
“না কান্দ, না কান্দ আর।
মুখ ভরি আগে দুগ্ধ পান কর
বহিছে পএর ধার।।”
মাআ রূপে তবে পুতুনা রাক্ষসী
করিছে কতেক ছলা।
নন্দরাণী তবে পুতুনার মোহে
মাআতে ভুলিয়া গেল।।
“শুন গো যশোদা, কোথা আরাধিলা
পাইলে এমন শিশু ।
ফলের কারণে এ হেন নন্দন
কহনে না জাএ কিছু।।
এমত ছাআলের হেদে গো জসদা,
বালাই লইঞা মরি ।
এমন সুন্দর মদন-মোহন
বদন গঠন চারি।।
গোকুল-নগরে গোপ-ঘরে ঘরে
আছএ কতেক বালা।
এমন সুন্দর না দেখি কোথাহ
বরণ চিকন কালা।।
তুমার ভাগ্যের ফল সে সুফল
পাইলে এমন নিধি।
অনেক তপের ফল আরাজিতে
দেখিঞা দিয়াছে বিধি।।”
এ বোল বলিআ পুতুনা রাক্ষসী
কতেক করিছে মায়া।
মায়ের সমান স্নেহ অতিসয়
তেমতি করিছে দয়া।।
“আহা মরি মরি” কহে বেরি বেরি
“তুমার বাছনি ধনে।।”
ইহাই বলিআ কোলে নহে শিশু
মুখে দিয়া বিষ স্তনে।।
জানিলা তখন নন্দের নন্দন
সফল করেন তার।
চণ্ডিদাস বলে শিশু করি কোলে
কান্দএ বারহু বার।।