কহে বসুমতী লক্ষ্মীর আদেশে
শুনেন শ্রবণ ভরি।
“অসুরের ভার সহিতে নারিঞা
আইল এ সুরপুরী।।
মুঞি নহু গাভী অবলা জনম
মোর নাম বসুন্ধরা ।
অসুর দুর্গতি দেখি বিপরীতি
* আইলু ত্বরা।।
দুর্গতি নাশিতে আর কেবা আছে
গোলক-ইশ্বর বই।
তেঞি সে আইলুঁ প্রভুর গোচর
সকল বেদনা কই ।।”
একথা শুনিতে লক্ষ্মী মহাদেবী
দয়া উপজিল তায়।–
“সকলি সফল করিব তোমার
কোনহুঁ না হব দায় ।।
প্রভু দয়াময় গুণের সাগর
এ তিন ভুবন-দাতা।
তেহ সে করিব তুমার তারণ
পতিত পাবন-কর্ত্তা।।
চিন্তা না করিহ খেনেক থাকিহ
প্রভুর নিদ্রায়ে মন।
নিদ্রাভঙ্গ হলে সবে নিবেদিবে”–
দীন চণ্ডীদাসে কন।।