“কেন বা লইয়া আইলা মোরে।
দেখি নবঘন যুবতী-মোহন
নয়ন-চকোর সোস (?) মরে।।
নয়নে নয়নে ভরি রূপ পিতে মনে করি
হেন বেলে চালাইল রথ।
দেখিতে না পায় রূপ উঠিল বিরহ-কূপ
সেই সে হইল অনুরথ।।
সে জন কঠিন বড় এবে সে জানল দঢ়
বড়ই কঠিন তার হিয়া।
মথুরানগর-মুখে লইয়া চলল সুখে
রমণী-হিয়ায় দিয়া ব্যথা।।
ধন্য তার মাতা পিতা কি আর কহিব কথা
অক্রূর বলিয়া থুইল নাম।
প্রথম আঁখর সার দেখাইলে অন্তকাল
শেষের আঁখর সেক-ধাম।।”
“কে বলে, অক্রূর সেহ বড়ই কঠিন দেহ
গৃহ ভাঙ্গাইয়া সেই জনা।
মথুরানাগরীগণে সে সব হরষ মনে
দিল মোরে বিরহ-বেদনা।।”
এ সব কারণ স্বরে বিষম নিশ্বা ছাড়ে
কাঁদে যত আহীর-রমণী।
চণ্ডীদাস কহে ভাল- “আমরা তুরিতে চল
দেখি গিয়া গোলোকের মণি।।”