“ক্ষেণেক দাঁড়ায়ে দেখ ।
হয় নয় ইহা বুঝ পরতীত
কি আর রহায়ে রাখ।।
আনহ চন্দন কাষ্ঠ পরতীত
কি আর রহায়ে রাখ।।
আনহ চন্দন কাষ্ঠ পরিমল
ভালে সে মেলাহ চিতা।
মনের আনন্দে এ দেহ পোড়াই
কি কহ তাহার কথা।।”
এ কাজ যখন শ্রবণে শুনিল
বেথিত কোনহি জনা।
রাই গলে ধরি অপার রোদন
বেদন হানল রামা।।
“তোমার এ অঙ্গ লাখবাণ সোনা
শ্রীমুখমণ্ডল বিধু।
যার হাসি রসে মণি কত হয়ে
ঝরয়ে কতেক মধু।।
এ অঙ্গ -দাহন কিসের কারণ
শুনহ কিশোরী গোরি।
কোন শুভ দিনে প্রসন্ন হইলে
সো বর নাগর হরি।।
এ তনু রহিলে তনু তনু মিলে
কোন দশা ফলে কত।
চেতন সমাধে শুন প্রিয় রাধে
নিকটে মিলব প্রিয়।।
সে হেন রসিয়া রহিলা বসিয়া
বিসরিয়ে সব লেহা।
রাধা বলি যদি কভু কোন সাধে
মনে পড়ে এই গেহা।।
অনেক আরতি করিলা পীরিতি
এ নব নায়ারী সনে।
নিকটে মিলব হেন মনে লয়ে”
দ্বিজ চণ্ডীদাস ভণে।।