চতুর রঙ্গিণী রাধা সখীগণ সঙ্গ।
যুকতি করিয়া রপে বুড়ীর সনে রঙ্গ।।
অবনত বয়ানে বসিলা তার কাছে।
বধূরে বিরস দেখি বুড়ী ঘন পুছে।।
আজি কেনে তোমারে এমন পারা দেখি।
বদন অরুণ আর ছলছল আঁখি।।
কেবা কি বলিল তোরে কেনে না এমন।
আমার শপতি লাগে কহিবে এখন।।
শাশুড়ী সরস দেখি কহে বিনোদিনী।
আপন করম-ভোগ ভূঞ্জিছি আপনি।।
কে মোর আপন বটে কাহারে কহিব।
যে যত কহিবে তাহা সকলি সহিব।।
সহজে চক্ষের বালি হয়্যাছি সবার।
এমন পাড়ার লোক করয়ে খাঁকার।।
আপন মাথার কেশ না জানি বান্ধিতে।
তাহে পর ঘর যাই রন্ধন করিতে।।
বড়ূর বৌহারি আমি বড়ূর ঝিয়ারি।
কুলবধূ তাহে কথা সহিতে না পারি।।
শেখর সরস করি রাইরে বুঝায়।
এবোল বলিতে ধনি তোরে না জুয়ায়।।