চরকে পুছিল বৃকভানু রাজা–
“কোন্‌ গুণী এই বটে।
কেন বা আইল কোন্‌ প্রয়োজন
কহত বচন ফুটে।।”
করযোড় করি কহে বরাবরি —
“শুনহ নৃপতি তুমি ।
বিদেশ হইতে পঞ্চ বাজিকর
আইল বালক গুণী।।
বাজির পুতলি অনেক আছয়ে
নানা যন্ত্র দেখি তথি।
বহু গুণ জানে গায়ন নাচন
শুন মহানরপতি ।।”
কহে গুণিজন– “শুনহ রাজন,
খেলিব কিছুই খেলা।”
“ভাল, ভাল” বলি বৃকভানু রাজা
ত্বরায়ে বাহির হৈলা।।
বাহির দুয়ারে বিচিত্র বিছানা
পাড়িল সকল জনে।
তাহে বৃকভানু বৈঠল হরিষে
ডাকি আনি গুণিজনে।।
নৃপে আজ্ঞা দিল মহল আটনে
রাণীবর্গ আদি করি ।
ঝরকা উপরে বসিলা হরিষে
সব সহচরী মিলি।।
রাধার জননী কৃত্তিকা মোহিনী
বৈঠল ঝরকাপরে।
বিনোদিনী রাধা সুন্দরী অগাধা
বৈঠল মায়ের কোড়ে।।
ললিতা সুন্দরী অনঙ্গমঞ্জরী
বৈঠল রাধার পাশে।
শত সহচরী চামর ঢুলায়
পাখা ঝুলে প্রতি আশে।।
নানা সেবা করে প্রতি সহচরী
আনন্দ কৌতুক বড়ি।
কনক-ঝারিতে বারি পূরি করি
থরে থরে সব এড়ি।।
তাম্বূল বাটাতে রেখেছে ত্বরিতে
কর্পূর মিশান করি।
চণ্ডীদাস বলে নানা উপহার
আনি থোয় সারি সারি।।