“জাতি কুল শীল সকল মজিল
ও রাঙ্গা চরণতলে।
হাসিতে হাসিতে পীরিতি করিয়া
নিদানে ডারিলে জলে।।
তখন আনিয়া চাঁদ করে দিলা
অনেক কহিলা মরে।
‘তোমা না ছাড়িব সঙ্গে করে নিব’–
বলিলে মাধবীতলে।।
এবে কোথা যাহ ছাড়িয়া রাধারে
সংহতি করিয়া লহ।
বিষম দারুণ শেল বুকে বাঁধি
এবে কেন তুমি দেহ।।
আঁখি আড় হলে এখনি মরিব
এখানে দাঁড়ায়ে দেখ।
হয় নয় এই দেখ তবে যাই
ক্ষণেক দাঁড়ায়ে থাক।।
একটি বচন কহ কহ শুনি
জুড়াক রাধার প্রাণ।”
রাই করে ধরি এক গোয়ালিনী
কহিতে লাগিল আন।।
“এখন কুমারি নবীন কিশোর
রাখিয়া যাইবে কোথা।
অলপ বয়সে প্রেম বাড়াইয়া
এবে দিবে হিয়া ব্যাথা।।”
চন্ডীদাস বলে– “শুন সুনাগরি,
ও চাঁদবদনী রাধা।
কেমনে বঞ্চিব এ গোপ-নাগরী
ইহা না করিহ বাধা।।”