দিবস রজনী গুণ গণি গণি
কি হৈল অন্তরে ব্যথা।
খলের বচনে পাতিয়া শ্রবণে
খাইনু আপন মাথা ।।
শুন শুন দূতি কি কহ মো প্রতি
বচন না লাগে ভাল।
সে ছার পিরীতি ভাবিতে ভাবিতে
সোনার বরণ কাল।।
বিষের গাগরী ক্ষীরে মুখ ভরি
কে না আনি দিল আগে।
করিনু আহার না করি বিচার
এ বধ কাহারে লাগে।।
নীর লোভে মৃগী পিয়াসে ধাইতে
ব্যাধ শর দিল বুকে।
জলের সফরী আহার করিতে
বঁড়শী লাগিল মুখে।।
জলদ নেহারি পিয়াসে চাতকী
চঞ্চু পসারল আশে।
বারিদ বারণ করল পবন
কুলিশ মিলিল শেষে।।
ক্ষীর নাড়ু করি বিষে মাখাইয়া
অবলা বালাকে দিল।
সুস্বাদ পাইয়া খাইতে খাইতে
নিকটে মরণ ভেল।।
যখন আছিল সুদিন আমার
তখন আছিল কোলে ।
এবে করি সাধ দেখিতে না পাই
হারাইনু করম ফলে।।
লাখ হেম পায়া যতনে বাঁধিতে
পড়ল অগাধ জলে।
হেন অনুচিত করে পাপ বিধি
দ্বিজ চণ্ডীদাস বলে।।