“দূতি, না কহ শ্যামের কথা।
কালা নাম দুটী আখর শুনিতে
হৃদয়ে বাড়য়ে ব্যথা।
আমি না যাইব সে শ্যাম দেখিতে
পরশ কিসের লাগি।
শ্রবণে শুনিতে শ্যাম-পরসঙ্গ
অন্তরে উঠয়ে আগি।
কিসের কারণে তা সনে মিলন
চলিয়া তুরিতে যাও।
তাহার মরম জানিল এখন
রহিল মাধবী-ছাও।।
তাহার কারণে সব তেয়াগিনু
কুলে জলাঞ্জলি দিয়া ।
তবু না পাইল সে নব নাগর
কেমন রসের পিয়া।।
কুল শীল ছিল সকলি মজিল
নিদানে কলঙ্ক সারা।
সুখের লাগিয়া পীরিতি করল
তাহার এমতি ধারা।।
সুখের আরতি করিল পীরিতি
সুখ গেল অতি দূরে।
সুখের সাগরে করহ পয়ান
মনোরথ পরিপূরে।।
পাড়ার পড়সী করে লোক হাসি
শুনিয়ে এসব কথা।
অন্তর-বেদন বুঝে কোন জন
কে জন বুঝিবে হেথা।।
কানুর পীরিতি দিল সমাধান
না কহ আমার কাছে।
কেবল বিষের রাশির সমান
হেন কেবা আর আছে।।
তুমি যাহ সখি কানুর সমাজে
আমি সে নাহিক যাব।”
চণ্ডীদাস বলে– বড় অভিমান
আমি শ্যামে যেয়ে কব।।