দেখিআ রোদন পাইঞা বেদন
কোলেতে করিল শিশু।
বসিল আঙ্গিনা কোনেতে *
কহিতে লাগল কিছু।।
“না কান্দ না কান্দ নন্দের নন্দন”
বাজায়ে ডম্বুর শিঙ্গা।
ভূকুটী করিঞা নাচেন * *
* শোভে ভুজঙ্গা।।
বসি মহেশ্বর কহেন উত্তর —
“না কান্দ না কান্দ আর।
ধ্রৃতুরার দুল লহ দুলালিয়া
গ * * * * ।।”
এ কথা শুনিঞা নন্দের নন্দন
চাহিলা শিবের পানে।
চুমকি হাসিঞা আকুল কান্দিঞা
স্বরূপ * * * ।।
কহেন জসদা — “উহে জগিবর
কিছুই ঔষধি জান ।
আমার ছাআলে কিছু বান্ধি দেহ
কান্দিএ * * *।।”
কহে তবে জগি– “শুন নন্দরাণি
ছাআলে ঔষধ মোর।
গলে বান্ধি দিলে এমন ঔষধ
কিছু ভয় নাহি * ।।”
শুনি নন্দরাণী হরস বদনে–
“দেহত ঔষধ খানি।
বান্ধিলে এ টোনা তবে সুখা হব
এই ত মায়ের প্রাণী।।”
* * * গোলোক-ইশ্বর
হাসিল আপন মনে।
করি সূত্র * বান্ধিল ঔষধ
দিন চণ্ডিদাস ভণে।।