নিজ বেশ ছাড়ি রসিক মুরারী
বান্ধল বিনোদ চূড়া ।
নানা আভরণ অঙ্গের ভূষণ
নানা মালতির বেঢ়া।।
কনক বলয়া নানা রত্নমণি
মাণিক তাহার মাঝে।
বিনোদ নাগর বিনোদ বেশেতে
নানা আভরণ সাজে।।
মোহন মুরুলী ধরিয়া করেতে
বায়ই নাগর রায়।
শুনিতে সুস্বর মুরুলীর রব
শ্রবণ পাতল তায়।।
তরুয়া কদম্বে দাঁড়াই ত্রিভঙ্গে
রসিক নাগর কান।
গৃহ-কাজে নাহি মন মনোহর
শুনিতে শুনয়ে আন।।
“শ্রবণ ভরিয়া মন মজাইয়া
শুনল বাঁশীর গীত।
গৃহ-কাজ মোর ছারে খারে জাউ
ইহাতে লাগল চিত ।।
কোমল বাঁশীর গীত আলাপনে
শ্রবণে পশিল যবে।
কি জানি কঠিন এ পাপ পরাণ
ধৈরজ না রহে তবে।।”
বৈঠল কিশোরী সব পরিহরি
গৃহকাজ রহে দূরে।
শ্রবণ পরশি শুনি সেই বাঁশী
চণ্ডীদাস মন ঝুরে ।।