পড়িল অসুর তবে জায় গড়াগড়ি।
গোকুলনগর লোক ধায় বরাবরি।।
‘কি কি’ বলি সব্দ করে গোকুল-নিবাসি।
“এতদিনে আপদ বেড়ল সভে আসি।।
নন্দের নন্দন সিসু ধরিতে বেড়াএ।
কংসচর চারিদিগে সতত বেড়াএ ।।
পুতনা রাক্ষসি মারে সেহেন নন্দন।
পদাঘাতে সকটারে বধিল জিবন।।”
ধাইল জতেক লোক দেখিতে অসুরে।
তরাস লাগিল দেখি সভার অন্তরে ।।
“সিসু হঞা অসুর বধিল দুই জনে।
দেবমুর্ত্তি ধরে সেই জানিলাঙ মনে।।
এ যেন মানুষ নহে নন্দের নন্দন।
সিসু বধি মারিলেক অসুর দুর্জ্জন।।”
হা হা করি শব্দ হল্য গোকুল-নগরে।
“জসদার পুত্র ইহা দেখিল গোচরে।।
জদি মোরা ঠেকি কন বিষম আপদে।
রাখিব বালক সিসু নহিব বিবাদে।।
ভাল হৈল গোপকুলে এমতি ছায়াল।”
ইহারে আসিস সভে করল বিসাল।।
এমন আপদে সিসু বাচিল কেমন।
ইহার আপদ নাঞি চণ্ডিদাস ভণে।।