বদন চাঁন্দ কোন কুন্দারে কুন্দিলে গো
কে না কুন্দিলে দুই আঁখি।
দেখিতে দেখিতে মোর পরাণ যেমন করে
সেই সে পরাণ তার সাখী।।
রতন কাড়িয়া অতি যতন করিয়া গো
কে না গঢ়িয়া দিল কানে।
মনের সহিতে মোর এ পাঁচ পরাণি গো
যোগী হবে উহারি ধেয়ানে।।
অমিয়া মধুর বোল সুখা খানি খানি গো
হাতের উপর নাহি পাঙ।
এমতি করিয়া যদি বিধাতা গঢ়িত গো
ভাঙ্গিয়া ভাঙ্গিয়া উহা খাঙ।।
মদন-ফান্দ ও না চূড়ার টালনি গো
উহা না শিখিয়া আইল কোথা।
এ বুক ভরিয়া মুঞি উহা না দেখিলু গো
এ বড়ি মরমে মোর বেথা।।
নাসিকার আগে দোলে এ গজ-মুকুতা গো
সোনায় মড়িত তার পাশে।
বিজুরী জড়িত যেন চাঁদের কণিকা গো
মেঘের আড়ালে থাকি হাসে।।
করভের কর জিনি বাহুর বলনি গো
হিঙ্গুল মণ্ডিত তার আগে।
যৌবন-বনের পাখী পিয়াসে মরয়ে গো
উহারি পরশ-রস মাগে।।
নাটুয়া ঠমকে যায় রহিয়া রহিয়া চায়
চলে যেন গজরাজ মাতা।
শ্রীনিবাস দাস কয় লখিলে লখিল নয়
রূপসিন্ধু গঢ়ল বিধাতা।।