বামেতে বসিলা রাই অতি অনুপাম।
নীলমণি বেড়ে যেন বিজুরির দাম।।
কনকের শিল মাঝে নীলের দাপনি।
মেঘ যেন উপি রহি যেমত দামিনী।।
বৃন্দাবন আলো করে দুহার ছটাতে ।
দেখিয়া সকল জন হইল মোহিতে।।
বরজ রমণী তুলি কুসুম সুগন্ধ।
বাছিয়া বিছায় শেষে ঝরে মকরন্দ।।
নিজ নিজ কুটির করযে ফুলসাজ।
মণি মন্দির শোভিছে তার মাঝ।।
বিচিত্র পালঙ্ক পরে সোনার তুলিচা।
সুরঙ্গ পাটের তুলি সুরঙ্গ মালিচা।।
কুসুম চন্দন আর আতর গুলাল।
মৃগমদ সৌরভ উঠে যার ভাল।।
তথি পরি শুতলি পুতলী নব গুরি।
আনন্দ বেহার রসে কিশোর কিশোরী ।।
মাতল মদন রসে চতুর মুরারি।
মদন আলস ভরে পড়ে শ্রমবারি।।
ঐছন করল কেলি শ্যাম মধুকর।
পঙ্কজ পাইল যেন পীরিতি ভ্রমর।।
তৈছন কুসুম ( —) কানু বসিয়া ।
ব্রজবধু – রসে মধু পিবই মাতিয়া।।
. . . . . . . . . . . .নাগর ময় কান।
ঐছন পীরিতি দীন চণ্ডীদাস গান।।