বিচিত্র পালঙ্কে শয়ন করায়ে
নন্দরাণী কিছু বলে।
“আজি কেন ধেনু উছর গমন
আনিলে যতেক পালে।।”
মায়ে কিছু বলে গমন-বিলম্ব–
“শুনহ বেদনী মাই।
চোরা ধেনু সনে যাইতে যাইতে
বনে বনে বুলি তাই।।
বিষম বিপাকে চোরা ধেনু সনে
পাইয়ে যাতনা বড়ি।
একলা কত না ফিরাব বাছুরি
কাননে যাইয়া পড়ি।।
যদি কিছু বলি ভাই বলরামে
ফিরাইতে ধেনুপাল।
শীতল ছায়াতে বসিয়া থাকেন
কোপেতে লোচন লাল।।
আর শিশুগণে আপন কাজেতে
তাদের এমনি রীতি।
কেবা করে কার নিজ কাজে দড়
সবার সমান মতি।।
আর বনে আমি না যাব জননি
এত কি বেদনা সয়।”
শুনি নন্দরাণী করুণ হৃদয়
কাষ্ঠের পুথলি রয়।।
“কত না ক্ষুধায় পীড়িত হয়েছ
বাছনি যাদুয়া মোর।”
চণ্ডীদাস বলে– শুনিয়া যশোদা
দুখের নাহিক ওর।।