বৃকভানু নন্দিনী রমণী শিরোমণি
নব নব রঙ্গিনী সঙ্গে।
চলিলা শ্রীবৃন্দাবনে শ্যামচাঁদ দরশনে
রসভরে ডগমগি অঙ্গে।।
রাই রূপ-লাবণ্যের সীমা।
না জানি কতেক নিধি গড়িল কেমন বিধি
ত্রিভুবনে নাহিক উপমা।। ধ্রু।।
নীলমণি চুড়ি হাতে রতন কঙ্কণ তাতে
নীল বসন শোভে গায়।
সোনার নূপুর পাতামল রাঙ্গাপায়ে ঝলমল
হংসগমনে চলি যায়।।
জিনি কত কোটী শশী মুখে মন্দ মৃদু হাসি
পিঠে দোলে চাঁচর কেশর বেণী।
বেণী আগে সোনার ঝাঁপা তার মাঝে কনক চাঁপা
গোবিন্দের হৃদয়-মোহিনী।।
ললিতা দক্ষিণ হাতে বাম কর দিয়া তাতে
প্রবেশিলা শ্রীবৃন্দাবনে।
রাই অঙ্গের কান্তিমালা দশদিক করিয়াছে আলা
জ্ঞানদাস আনন্দিত মনে।।