বেশ বনাইছে মায়।
চাঁচর চিকুর বনাই সুন্দর
চূড়াটি বাঁধিল তায়।।
বেড়িয়া মালতী আনি জাতি যূথি
কুন্দের কলিকা দিয়ে।
তাহার উপরে মুকুতার মালা
প্রবাল মাঝারে দিয়ে।।
সোনার দু থরি মালা দিয়া ফেরি
মানিক খোপনি সাজে।
পরশ পাথর গাঁথি থরে থর
কি শোভা দেখ না মাঝে।।
ময়ূর-শিখণ্ড দিয়া তারপর
বিনি বায়ে দেখ উড়ে।
ফুলের সৌরভে অলিকুল যত
উড়িয়া উড়িয়া পড়ে।।
দুদিকে দুকানে কদম্বের ফুল
কি শোভা পেয়েছে দেখি।
নীলমণি যেন হেন লয় মন
নব ঘন কিসে পেখি।।
কপালে মলয়– চন্দন -তিলক
তাহে গোরোচনা -ফোঁটা।
শ্রীমুখ ঝলকে যেমন অলকে
পূর্ণিমা চাঁদের ঘটা।।
অধর বান্ধুলী যেন রাতাগুলি
কি জানি হিঙ্গুলে দলি।
নয়ন চাতক তাহতে কাজল
আতি সে শোভন ভালি।।
বাহেটার বালা গলে বনমালা
কটিতে ঘুঙ্গুর বায়।
করেতে মুরলী শোভে দেখ ভালী
রতন নূপুর পায়।।
চণ্ডীদাসে কয়– “নটবর-রূপ
সদাই দেখিয়ে থাকি।
হেন মনে হয় নীল নবঘন
হিয়াতে ভরিয়া রাখি।।”