রাইয়ের দশমী দশা দেখি জীবনের আশা
তেজিয়াছে সকল সুন্দরী।
ভূতলে পড়িয়া কান্দে কেশ-পাশ নাহি বান্ধে
উচ্চ স্বরে হাহাকার করি।।
শ্যাম কুলিশ সমান তোর হিয়া।
হেন প্রেমবতী-জনে না জানি কেমন-মনে
কেমনে রয়্যাছ পাসরিয়া।।ধ্রু।।
ললিতা বিরহানলে পড়িয়া ধরণী-তলে
নিশি-দিশি নাহিক চেতন।
বিশাখা আপন-শিরে কঙ্কণ আঘাত করে
মুক্ত-কণ্ঠে করয়ে রোদন।।
চিত্রা চম্পকলতা পড়ি আছে মুরছিতা
সব অঙ্গ শিথিল হইয়া।
তুঙ্গবিদ্যা ইন্দুরেখা রঙ্গদেবী সুদেবিকা
মৃত যেন আছয়ে পড়িয়া।।
অনেক-স্ত্রীবধ-পাপ তোমারে হইবে লাভ
যদ্যপি বিলম্ব কর যাত্যে।
কমল কাতরে কয় বিলম্ব উচিত নয়
শীঘ্র-গতি চল মোর সাথে।।