[রাত্রে জনমলি কৃষ্ণ সভার উল্লাস।
প্রাতঃকালে হাতে যেন পাইল আকাশ।।
পুণ্য তিনি তিথি যোগ পাইয়া জনমিলা ভগবান ।
দ্বাপর যুগের ধর্ম্ম লোক পরিত্রাণ।।]
নন্দ নাচে নীল রতনমণি প্যায়া।
নানাধন বিলায় নন্দ পুত্রমুখ চ্যায়া।।
গোঠে হইতে নন্দ ঘোষ আইলেন ধ্যায়া।
হাতে লাঠি কান্ধে ভার নাচে থৈয়া থৈয়া।।
শিব নাচে ব্রহ্মা নাচে আর নাচে ইন্দ্র।
গোকুলের গোয়ালা নাচে পাইয়া গোবিন্দ।।
নন্দের মন্দিরে বেগে গোয়াল আল্য ধ্যায়া।
হরষিত হৈয়া নাচে সকল গোপের ম্যায়া।।
অপুত্রিকের পুত্র হৈল নিধনিয়ার ধন।
জয় জয় কীর্ত্তি নন্দের ঘোষে ত্রিভুবন।।
যতেক গোয়ালা নাচে হইয়া উল্লাস।
হাত বাড়াইয়া যেন পাইল অকাশ।।
হরষিত হইয়া নাচে সকল গোপের ম্যায়া।
শঙ্খ ঘন্টা বাদ্য গীত করতালি দিয়া।।
পূণ্যতিথি যোগ পাইয়া জন্মিলা নারায়ণ।
দ্বাপর যুগের ধর্ম্ম লোকের কারণ।।
বৃদ্ধ আবাল কিবা কুল বধূগণ।
হরি হরি মঙ্গল ধ্বনি করে সর্ব্বজন।।
তৈল হরিদ্রা দধি গাগরি ভরিয়া।
নন্দের হৈল পুত্র দেখ না আসিয়া।।
আজি নন্দের ঘরে কি আনন্দময়।
সুতিকা মন্দিরে কত চান্দের উদয়।।
কলসে কলসে দধি শত শত ভার ।
ফেলরে ফেলরে নন্দ ডাকে বার বার।।
ক্ষণে নন্দ বাহির হয় ক্ষণে যায় ঘরে।
দুই হাত পসারিয়া বোলে কৃষ্ণ দেও মোরে।।
কৃষ্ণ কোলে করি নন্দ নাচে ফিরি ফিরি।
জ্ঞানদাস মাগে রাঙ্গা চরণ মাধুরি।।