রাধার কাকুতি করিছে আরতি
“শুনহ নাগর রায়।
বুঝি হেন মন লইবে পরাণ
হেন বুঝি অভিপ্রায়।।
এবার বাচাহ জীব যতকাল
ঘুচিব তোমার গুণে।
কিসের কারণ এত অপমান
করহ আপন মনে।।”
কানু কহে তাহে– “তখনি বলেছি
ভাঙ্গা নৌকাখানি মোর।
তোমরা গোয়ালী ছেনা দুগ্ধ খেয়ে
আছে অঙ্গ ভারি তোর।।
মোর ভাঙ্গা নায়ে এত কিবা সহে
না’খানি ডুবিতে চায়।
মোর কিবা দোষ মোরে কর রোষ
সকলি চাপিলে নায়।।”
“মকর কুম্ভীর ভাসে শত শত
তাহার নাহিক লেখা ।
পরাণ উড়িছে তাহারে দেখিয়া
কার সনে আর দেখা।।”
কানু বলে–“শুন, বিনোদিনী রাধা,
আমার কি আছে দোষ।
ভাঙ্গা নৌকাখানি দরিয়াতে ঘুরে
আমার কি আছে দোষ।।”
চণ্ডীদাস কহে– “শুন সুনাগর,
অবলা কি জানে রীত।
তোমার চাতুরী কিবা সে বুঝিব
কে জানে তোমার চিত।।”