শিঙ্গা বেণু শুনি যশোদা রোহিণী
নাহিক সুখের ওর।–
“ঐ শুন শুন মধুর মুরলী-
মাধুরী কানুর জোর।।
সোনার পুতলি বনে পাঠাইয়া
আছিল চেতন হরি।
মরা তরু যেন বরিষ পাইলে
যে যেন মঞ্জরী সরি।।
কতক্ষণ হেরি সে চাঁদ-বদন
তবে সে জুড়াই -প্রাণ।
আঁখির তারাটি খসিয়া গেছিল
পুন বৈঠল ঠাম।।”
এই সে আশ্বাস যশোদা রোহিণী
কহয়ে মধুর বাণী।
দূর হইতে দুহু শুনে একরস
শিঙ্গার মুরলী-ধ্বনি।।
আনন্দ-মগনে দুহুঁ সে ভাসল
সুখের নাহিক সীমা।
চণ্ডীদাস বড় সুখী হয় চিতে
দেখিয়ে দোঁহার প্রেমা।।