“শুনগো মরম সখি।
এই শুন শুন মধুর মুরলী
ডাকয়ে কমলআঁখি ।।
ধৈরজ না ধরে প্রাণ কেমন করে
ইহার উপায় বল।
আর কিয়ে জীব গোপের রমণী
বৃন্দাবনে যাব চল।।”
এই অনুমান করে গোপীগণ
শুনি সে বাঁশীর গীত।
“শুধু তনু দেখ এই তনু মোর
তথায় আছয়ে চিত।”
মুগধ রমণী কুলের কামিনী
না জানে আপন পথ।
যেনক চাঁদের রসের পরশ
চকোর অনুহি রথ।।
সে জন পাইলে চাঁদের সুধাটি
সুখের নাহিক ওর।
“কতক্ষণে মোরা ভেটিব নাগর
পাবহ তাকর কোর।।
যেন মেঘরস তাহাতে আবেশ
চাতক না পায় বারি।
সে জন পিয়ারে না পাই আবেশে
সে জন হুতাশে মরি।।
জলের আবেশে চাতক ঝুরয়ে
তেমনি আমরা হই।
তবে সে জিয়ই অথির রমণী
জলদ-গতিক সেই।।”
চণ্ডীদাস বলে— চলহ নিকুঞ্জে
ভেটিতে নাগর কান।
ঐ শুন বাঁশী বাজে এই নিশি
ত্বরিতে চলিয়া যান।।