“শুন শুন প্রাণের উদ্ধব।
হেন চিত আছে মোরা বুঝয়ে এমতি ধারা
গোকুলেতে করহ উদ্ভব।।
লইয়া সন্দেশ হার ঝট কর আগুসার
তবে চিত স্থির করি মানে।
কহিবে জতন করি তুরিতে আওয়ব হরি
পাছে ধনি তেজয়ে পরাণে।।
সে নব কিসোরি গৌরী চিতে পাশরিতে নারি
গোপেতে গুমরি এই চিতে।
অবলম্ব করি তাই বাঁশীতে সুচারু গাই
রাধা নাম বলি যে বেকতে ।।
সে মোর তনুর সম তা বিনু দেখয়ে ভ্রম
সে মোর ভজন তনুধারি।
বিসম কংসের মতি রাখিতে জগতে ক্ষ্যাতি
তারে বধিবারে মধুপুরি।।
ভাবিতে রাধার গুণ পাঁজরে বিন্ধিল ঘুন
হিয়া বিন্ধে সো হেন নাগরি।
আমার বিরহ পাঞা না জানি কি আছে জিয়া
সেই মোর নবিন নাগরি।।
লইয়া সন্দেশ মালা দেহ লঞা শুভ বেলা
কহিবে বচন দুই চারি।
তুরিতে জাইয়া দেখ কি কাজ বিলম্বে থাক
যাহ ঝট গোকুল-নগরি।।”
শ্যামের বচন শুনি উদ্ধব মনেতে গণি–
“শুন প্রভু মোরে কর দয়া।
দেহত সন্দেশ মাল”– লইয়া উদ্ধব ভাল
চলে পথে গোবিন্দ ধেয়াইয়া।।
চণ্ডিদাস অতি সুখী মনের আনন্দে দেখি
রাধার করিতে উদ্দেশ।
ধাইয়া চলল পথে রাধারে বারতা দিতে
গাইতে রাধার গুণ যশ।।