“শুন হে নাগর গুণমণি।
সায়রে ফেলিব বিনোদিনী।।
একূল ওকূল নাহি তাথে।।
ভাসাইল মাঝ দরিয়াতে।।
এত যদি ছিল তোর মনে ।
তবে প্রেম বাচাইলা কেনে ।।
পরিহর কি দোষ দেখিয়া ।
তবে তুমি যাইবে ছাড়িয়া।।
কে তোমা লইয়া যেতে পারে।
স্ত্রীবধ-পাতকী দিব তারে।।
সেই জন দেখিব কেমন।
পরবধ করিতে যতন।।
দোষ-গুণ আগেতে বিচারি।।
তবহি যাইবে মধুপুরী।।
তুমি যাবে মধুপুর দেশ।
গোপীগণে দিয়া অতি ক্লেশ।।
যত কৈলে লহরী রসিয়া।
সে সকলরহ পাসরিয়া।।
যে দিন মাধবীতরু-ছায়।
কি বোল বলিলে যদুরায়।।
করে দিল শুকতি (?) সুন্দর।
অনেক করিল ছন্দ বন্দ।।
সঙ্গেতে আছিল এবে।
কোন সাহসে ছাড়ি যাবে।।
দেখ দেখি মনে বিচারিয়া ।
সত্য মিথ্যা দেখহ ভাবিয়া।।
তখন করিলে তুমি পণ।
এবে কর এখন এমন।।
কহিলে যথারে যাবে তুমি।
কহিলে –‘তোমারে নিব আমি’ ।।”
চণ্ডীদাস কহে তাহে পূরি।
নিদান কহিছে নবগৌরী।।