শ্রীশ্রী আলালনাথের শ্রীমন্দিরে কীর্ত্তন

শ্রীশ্রীরাধারমণো জয়তি

‘‘শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই গৌর হরিবোল।’’
‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’

মধুর গৌরাঙ্গ-লীলা

মধুর শ্রীনীলাচলে—মধুর গৌরাঙ্গ-লীলা
পাষাণ-গলান-লীলা—মধুর গৌরাঙ্গ-লীলা

পাষাণ-গলান-লীলা

নীলাচলে প্রাণগৌরাঙ্গের—পাষাণ-গলান-লীলা
আলালনাথের শ্রীমন্দিরে—পাষাণ-গলান-লীলা

ভাবনিধি গৌরাঙ্গ আমার

রাধিকা-ভাবিত-মতি—ভাবনিধি গৌরাঙ্গ আমার

নীলাচলে সদাই বসতি

অন্তরঙ্গ-ভক্ত-সংহতি—নীলাচলে সদাই বসতি

‘‘শেষ যে রহিল প্রভুর দ্বাদশ বৎসর রে।
নিরন্তর শ্রীকৃষ্ণবিরহে বিভোর রে।।’’

স্নান-যাত্রার পরদিনে

রাধিকা-ভাবিত-মতি গৌর আমার—স্নান-যাত্রার পরদিনে
রাধা-ভাবে ভোরা গোরা আমার—স্নান-যাত্রার পরদিনে

জগন্নাথের অদর্শনে

জগন্নাথে কৃষ্ণ মানে—জগন্নাথের অদর্শনে

এসেছিলেন এই আলালনাথে

বিরহ-বিধুরা কিশোরী গোরা—এসেছিলেন এই আলালনাথে

করেছিলেন দণ্ডবৎ

এই প্রস্তর-খণ্ডের উপরি—করেছিলেন দণ্ডবৎ

পাষাণ গলিয়া গিয়াছিল

গৌর-হিয়ার বিরহ-তাপে—পাষাণ গলিয়া গিয়াছিল

পড়েছিল সর্ব্বাঙ্গ-চিহ্ন

বিরহ-অনলে গলে—পড়েছিল সর্ব্বাঙ্গ-চিহ্ন

এই সেই সর্ব্বাঙ্গ-চিহ্ন

পাষাণ গলিয়া গিয়া— এই সেই সর্ব্বাঙ্গ চিহ্ন

[মাতন]
পাষাণ-গলান গোরা

প্রাণভরে বল ভাই তোরা—পাষাণ-গলান গোরা

(মাতন)
ভাই ভাই মিলে এলাম নীলাচলে

এই রথযাত্রা-কালে—ভাই ভাই মিলে এলাম নীলাচলে

দেখিতে তো পাই নাই মোরা

শ্রীনীলাচলে প্রকট-বিহার—দেখিতে তো পাই নাই মোরা
স্থাবর-জঙ্গম,–প্রেমোন্মত্তকারী লীলা—দেখিতে তো পাই নাই মোরা
প্রাণগৌরাঙ্গের,–কীর্ত্তন-নটন-লীলা—দেখিতে তো পাই নাই মোরা
প্রাণগৌরাঙ্গের,–পাষাণ-গলান-লীলা—দেখিতে তো পাই নাই মোরা

নিশিদিশি জ্বলেছে হিয়া

সেই,–লীলা-অদর্শন-শেল—নিশিদিশি জ্বলছে হিয়া

এলাম আমরা বুক বেঁধে

দগ্ধ-হৃদয় জুড়াব বলে—এলাম আমরা বুক বেঁধে
শ্রীগুরু-মুখের কথা সঙরি—এলাম আমরা বুক বেঁধে

শ্রীগুরুমুখে শুনেছি মোরা

‘‘অদ্যাপিও সেই লীলা করে গৌররায় রে।
কোন কোন ভাগ্যবানে দেখিবারে পায় রে।।’’

আজও হতেছে সেই লীলা

মধুর শ্রীনীলাচলে—আজও হতেছে সেই লীলা

তাই,–এলাম আমরা ভাই ভাই মিলে

শ্রীগুরুদেবের,–সেই কথা হৃদে ধরে—তাই,–এলাম আমরা ভাই ভাই মিলে
শ্রীরথযাত্রায় নীলাচলে—তাই,–এলাম আমরা ভাই ভাই মিলে

বড় সাধ দেখব বলে

রথের আগে মধুর বিহার—বড় সাধ দেখব বলে

‘‘নীলাচলে যব মঝুনাথ।।’’
দেখিব আপনি জগন্নাথ।।
রামরায় স্বরূপ লইয়া।
নিজভাব কহে উঘাড়িয়া।।
মোর কি হইবে হেন দিনে।
সে কথা কি শুনিব শ্রবণে।।
পুনঃ কিয়ে জগন্নাথ দেবে।
গুণ্ডিচা-মন্দিরে চলি যাবে।।
প্রভু মোর সাত সম্প্রদায়।
করিবে কীর্ত্তন উভরায়।।
মহানৃত্য-কীর্ত্তন-বিলাস।
সাত ঠাঁই হইবে প্রকাশ।।


ভাইরে,–মোর কি এমন দশা হব।
সে লীলা কি নয়নে হেরিব।।’’


‘‘নাচে শচীনন্দন, দেখে রূপ সনাতন,’’

সাধ ছিল দেখব বলে

জগন্নাথের রথের আগে—সাধ ছিল দেখ্‌ব বলে
গৌর-নটন দেখ্‌ব বলে—সাধ ছিল দেখ্‌ব বল

‘‘নাচে শচীনন্দন, দেখে রূপ সনাতন,
গান করে স্বরূপ দামোদর।
গায় রায় রামানন্দ, মুকুন্দ মাধবনন্দ,
বাসুঘোষ গোবিন্দ শঙ্কর।।
প্রভুর দক্ষিণ-পাশে, নাচে নরহরি দাসে,
বামে নাচে প্রিয় গদাধর।
নাচিতে নাচিতে প্রভু, আউলাইয়া পড়ে কভু,
আবেশে ধরয়ে দোঁহার কর।।
নিত্যানন্দ-মুখ হেরি, বলে প্রভু হরি হরি,
কৃষ্ণ কৃষ্ণ ডাকে উচ্চৈঃস্বরে।
সঙরি শ্রীবৃন্দাবন, প্রাণ করে উচাটন,
আবেশে ধরয়ে রায়ের করে।।’’

বড় সাধ দেখব বলে

শ্রীগৌরাঙ্গের,–রথের আগে মধুর বিহার—বড় সাধ দেখব বলে

দেখিতে তো পেলাম না

ভাই ভাই মিলে কত খুঁজলাম—দেখিতে তো পেলাম না
রথের আগে সেই মূরতি—দেখিতে তো পেলাম না

তার দেখা তো পেলাম না

রথযাত্রা শেষ হোলো—তার দেখা তো পেলাম না

তাই,–এসেছি বড় আশা করে

প্রভু,–পাষাণ-গলান-মূরতি—একবার দেখাও হে
‘সেই,–পাষাণ-গলান-মূরতি—
সেই,–রাধাভাবদ্যুতি-সুবলিত—সেই,–পাষাণ-গলান মূরতি

একবার দেখাও হে

তোমায়,–করয়োড়ে মিনতি করি—একবার দেখাও হে
সেই,–রাধাভাবে ভোরা গোরা—একবার দেখাও হে

প্রভু,–আলালনাথ বল বল

প্রাণগৌর কোথা গেল—প্রভু,–আলালনাথ বল বল

প্রাণগৌর কোথা গেল

এই পাষাণ গলাইয়া—প্রাণগৌর কোথা গেল
প্রভু,–আলালনাথ বল বল—প্রাণগৌর কোথা গেল

(মাতন)
ভাগ্যবান পাষাণ তুমি
আমি,–অনুভবে পাই নাই

তুমি,–ভাগ্যবান কি ভাগ্যবতী—আমি,–অনুভবে পাই নাই

তুমি,–এসেছিলে পাষাণ-রূপে

হৃদে,–ধরিতে গোরা-রসভূপে—তুমি,–এসেছিলে পাষাণ-রূপে (মাতন)

আর হৃদয়ে কেবা ধরে

গৌরাঙ্গ-রসভূপে—আর হৃদয়ে কেবা ধরে
বিলাসের তনু বিনা—আর হৃদয়ে কেবা ধরে

আর কার অধিকার

প্রাণগৌর হৃদে ধরিবার—আর কার অধিকার

তাই,–মনে অনুমান করি

তুমি বিলাসের মুরতি—প্রভু নিত্যানন্দ আমার

(মাতন)
আমার নিতাই গুণমণি

গৌরলীলা হবে জানি—আমার নিতাই গুণমণি

এসেছিলেন পাষাণ-রূপে

হৃদে,–ধরিতে গোরা-রসভূপে—এসেছিলেন পাষাণ-রূপে

নৈলে,–আর কেবা ধরবে

গৌরের,–দারুণ-বিরহ-তাপ—নৈলে,–আর কেবা ধরবে

তাই,–ধরেছ গোরা-রসভূপে

তুমি এসে পাষাণ-রূপে—তাই,–ধরেছ গোরা-রসভূপে

দেখিতে তো পাষাণ বটে

অতি-সুকোমল ভূমি—দেখিতে তো পাষাণ বটে

অতি-সুকোমল তুমি

গৌরাঙ্গ-বিলাসের ভূমি—অতি-সুকোমল তুমি

তোমার,–কোমল-হৃদয় গলে গিয়াছে

তাইতে ধরেছ চিহ্ন—তোমার,–কোমল হৃদয় গলে গিয়াছে

(মাতন)
প্রকাশ হয়েছে পাষাণ-রূপে

গৌরের,–বিরহ-তাপের বল দেখাতে—প্রকাশ হয়েছ পাষাণ-রূপে

দেখ,–বিরহ-তাপের কত বল

পাষাণ গলিয়া গেল—দেখ,–বিরহ—তাপের কত বল

(মাতন)
পরম-করুণ শ্রীগুরুদেব
কিছুই তো জানতাম না

কেবা গৌর তাঁর কিবা লীলা—কিছুই তো জানতাম না
‘কেবা গৌর তাঁর কিবা লীলা’—
কোথা বা নীলাচল—কেবা গৌর তাঁর কিবা লীলা

কিছুই তো জানতাম না
সঙ্গে করে লয়ে এলে

এই রথযাত্রা-কালে—সঙ্গে করে লয়ে এলে

গৌর-লীলা জানাইলে

সঙ্গে করে লয়ে এলে—গৌর-লীলা জানাইলে

কৃপা করে ইঙ্গিত করলে

নীলাচরে গূঢ়-বিহার—কৃপা করে ইঙ্গিত করলে
আলালনাথের গূঢ়-বিহার—কৃপা করে ইঙ্গিত করলে
‘আলালনাথের গূঢ়-বিহার’—
বিরহ-আবেশে গোরার—আলালনাথের গূঢ়-বিহার
নিতাই-বুকে গোরার শয়ন—আলালনাথেব গূঢ়-বিহার

(মাতন)
কৃপা করে জানাইলে
একবার দেখাও হে

যদি এনেছ কৃপা করে—তবে,–একবার দেখাও হে
নিতাই-বুকে গোরার শয়ন—একবার দেখাও হে

দেখাও যুগল-মাধুরী

নিতাই গৌর জড়াজড়ি—দেখাও যুগল-মাধুরী
‘নিতাই গৌর জড়াজড়ি’—
আলাননাথের শ্রীমন্দিরে—নিতাই গৌর জড়াজড়ি

অনুভব করাও হে

বিলাস-বিবর্ত্ত-বিলাসরঙ্গ—অনুভব করাও হে
নিতাই-বুকে গোরার শয়ন—অনুভব করাও হে
‘নিতাই-বুকে গোরার শয়ন’—
বিলাস-বিবর্ত্ত-বিলাসরঙ্গ—নিতাই-বুকে গোরার শয়ন

(মাতন)
একবার দেখাও হে

পরম-করুণ শ্রীগুরুদেব—একবার দেখাও হে

দেখাও যুগল-মাধুরী

নিতাই গৌর জড়াজড়ি—দেখাও যুগল-মাধুরী

হৃদি-পটে এঁকে নেবো

এই যুগল-মাধুরী—হৃদি-পটে এঁকে নেবো
এই নিতাই গৌর জড়াজড়ি—হৃদি-পটে এঁকে নেবো
তোমার কৃপা সঙরিয়ে—হৃদি-পটে এঁকে নেবো

পাগল হয়ে বেড়াব

ভাই ভাই ভাই মিলে—পাগল হয়ে বেড়াব
হা নিতাই গৌরাঙ্গ বলে—পাগল হয়ে বেড়াব

যারে দেখবো তারে বোলবো

‘‘ভজ নিতাই গৌর রাধে শ্যাম।
জপ হরে কৃষ্ণ হরে রাম।।’’

‘‘শ্রীগুরু-প্রেমানন্দে নিতাই-গৌর-হরিবোল।।’’



অভিসার আক্ষেপানুরাগ কুঞ্জভঙ্গ খণ্ডিতা গীতগোবিন্দ গোষ্ঠলীলা দানলীলা দূতী ধেনুবৎস শিশুহরণ নৌকাখন্ড পূর্বরাগ বংশীখণ্ড বিপরীত বিলাস বিরহ বৃন্দাবনখন্ড ব্রজবুলি বড়াই বড়াই-বচন--শ্রীরাধার প্রতি মাথুর মাধবের প্রতি দূতী মান মানভঞ্জন মিলন রাধাকৃষ্ণসম্পর্ক হীন পরকীয়া প্রেমের পদ রাধা বিরহ রাধিকার মান লখিমাদেবি শিবসিংহ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন শ্রীকৃষ্ণের উক্তি শ্রীকৃষ্ণের পূর্বরাগ শ্রীকৃষ্ণের মান শ্রীকৃষ্ণের স্বয়ংদৌত্য শ্রীগুরু-কৃপার দান শ্রীরাধা ও বড়াইয়ের উক্তি-প্রত্যুক্তি শ্রীরাধার উক্তি শ্রীরাধার প্রতি শ্রীরাধার প্রতি দূতী শ্রীরাধার রূপবর্ণনা শ্রীরাধিকার পূর্বরাগ শ্রীরাধিকার প্রেমোচ্ছ্বাস সখীতত্ত্ব সখীর উক্তি সামোদ-দামোদরঃ হর-গৌরী বিষয়ক পদ